জার্মানির টেসলা কারখানায় বিক্ষোভকারীদের প্রবেশের চেষ্টা

0

জার্মানির বার্লিনের কাছে অবস্থিত টেসলার কারখানার বাইরে প্রায় ৮০০ বিক্ষোভকারী কোম্পানিটির সম্প্রসারণ পরিকল্পনার প্রতিবাদে জড়ো হয়েছেন। তাদের মধ্যে কয়েকজন কারখানায় প্রবেশের চেষ্টা করলে পুলিশের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ হয়। খবর: সিএনএন।

বিক্ষোভ কর্মসূচির আয়োজন করা ডিজরাপ্ট নামের একটি পুঁজিবাদ বিরোধী সংগঠন তাদের ওয়েবসাইটে এক বিবৃতিতে বলেছে, ডিজরাপ্ট টেসলা অ্যাকশন ডেজের অংশ হিসেবে টেসলা গিগাফ্যাক্টরির বাইরে বর্তমানে ৮০০ জন কর্মী অবস্থান করছেন।

এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আগের বিক্ষোভে অংশ নেওয়া লোকেরা জঙ্গলের ভেতর দিয়ে কারখানার দিকে দৌড়ে যান। ওই সময় তারা ডয়চে বান রেলপথের কাছাকাছি থাকায় এবং কয়েকজন আংশিকভাবে রেলপথের ওপর অবস্থান নেওয়ায় এরকনার ও ফার্স্টেনওয়ার্ল্ডের মধ্যে রেল চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ করা হয়।

পুলিশ জানিয়েছে, বিক্ষোভকারীদের টেসলা কারখানার প্রাঙ্গনে প্রবেশে বাধা দিয়েছেন তারা।

ওলে বেকার নামে ডিজরাপ্টের একজন মুখপাত্র বলেন, আন্দোলনকারীদের জন্য এটা একটা ভালো দিন ছিল। দুর্ভাগ্যবশত আমরা অনেক পুলিশি সহিংসতা দেখেছি। আমি অনেক আহত মানুষকে দেখেছি। আমি আজ এমন কিছু দেখেছি যা আমি অনেক বছর ধরে দেখিনি।

টেসলার ওই কারখানাটি জার্মানির ব্র্যান্ডেনবার্গ প্রদেশে অবস্থিত।

এ ঘটনায় টেসলা বা ব্র্যান্ডেনবার্গ প্রদেশের পুলিশ মন্তব্যের জন্য সিএনএনের অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি।

তবে টেসলার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইলন মাস্ক এক্স পোস্টে বলেন, বিক্ষোভকারীরা নিরাপত্তাবেষ্টনি অতিক্রম করতে পারেনি। এখনও কারখানার চারপাশে দুইটি নিরাপত্তা বেড়া অক্ষত রয়েছে।

ডিজরাপ্ট দাবি করছে, ইউরোপে টেসলার একমাত্র কারখানাটিতে উৎপাদন সক্ষমতা দ্বিগুণ করার জন্য নেওয়া মাস্কের পরিকল্পনা স্থানীয় পরিবেশের ক্ষতি করবে।

তারা আরও বলেছে, কারখানার সম্প্রসারণের জন্য আশপাশের জঙ্গলের কিছু অংশ খালি করে ফেলতে হবে এবং এতে স্থানীয় পানি সরবরাহ ব্যবস্থায় চাপ পড়বে। সংগঠনটি চার দিনব্যাপী বিক্ষোভের পরিকল্পনা করেছে, যা বুধবার থেকে শুরু হয়েছে।

বিক্ষোভের কারণে টেসলা তাদের কারখানাটি শুক্রবার বন্ধ রাখে।

এর আগে ব্র্যান্ডেনবার্গের পুলিশ গত বুধবার জানিয়েছে, বিক্ষোভের কারণে তারা বাড়তি সতর্কতা ও প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিল। তারা আরও জানিয়েছে, যেকোনো পরিস্থিতিতে তারা ফেডারেল পুলিশ ও অন্যান্য স্টেট পুলিশ ফোর্সের সহায়তা পাবে।

এক বিবৃতিতে ব্র্যান্ডেনবার্গ পুলিশ বলেছে, এ ধরণের বিক্ষোভ ও সন্ত্রাসী কর্মসকাণ্ডকে এড়িয়ে যাওয়া যাবে না। পুলিশ এই বিক্ষোভের শান্তিপূর্ণ বা শান্তিপূর্ণ নয় এমন সব ধরণের ফলের জন্যই প্রস্তুত। অপরাধ সংঘটিত হলে পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে সেখানে হস্তক্ষেপ করবে। 

Share.