জাপানের টোকি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষার হলে ছুরি হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে আহত হয়েছেন তিন শিক্ষার্থী। এ ঘটনায় আতঙ্ক তৈরি হয়েছে জাপানে। হামলার কারণ উদ্ধারে পুলিশ তদন্ত করছে।
জাপানের সরকারি গণমাধ্যম এনএইচকে জানায়, গতকাল ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা চলছিল। দেশটিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে এদিন। আহতরা সবাই শিক্ষার্থী। তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদের একজনের বয়স ৭২ বছর। অন্য দুইজনের বয়স ১৮, তারা ভর্তি পরীক্ষা দিতে এসেছিল।
হামলাকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা দিতে এসেছিল। তাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। টোকিও মেট্রোপলিটন পুলিশের তরফ থেকে বলা হয়েছে, গ্রেফতার ছাত্রের বয়স ১৭ বছর। তার বাড়ী দেশটির নাগোয়া প্রদেশে। এ ঘটনার সে ক্ষমা চেয়েছে।
সে বলেছে, ‘আমার গ্রেড অনেক খারাপ। আমি ভালোমতো পড়ালেখা করিনি।’ তবে হামলার পেছনে তার এ যুুক্তি মানতে নারাজ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
গতকাল প্রায় ৫ লাখ ৩০ শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা অংশ নেন। দ্য ন্যাশনাল সেন্টার ফর ইউনিভার্সিটি এন্ট্রান্স এক্সামিনেশন জানায়, আহত শিক্ষার্থীরা পরবর্তীকালে পরীক্ষা অংশ নিতে পারবে। চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে তাদের পরীক্ষা নেয়া হবে।
জাপানে সহিংসতার মাত্রা অন্যান্য দেশের তুলনায় খুব কম। তবে দেশটিতে মাঝেমাঝে ছুরি হামলার ঘটনা ঘটে। গত বছর ২৪ নভেম্বর ইয়াটোমি শহরের একটি জুনিয়র স্কুলে ১৪ বছর বয়সী একটি ছাত্র তার সহপাঠির ছুরিকাঘাতে মৃত্যুবরণ করে। তারা একে অন্যের সঙ্গে ঝগড়া করছিল। এর এক পর্যায়ে অন্য সহপাঠির আঘাতে মারা যান সে।
এ দুই ঘটনার কারনে বিব্রত দেশটির সরকার। গতকালের ঘটনা নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। চিন্তা দেখা দিয়েছে অভিভাবকদে মধ্যে। সবার নিরাপদ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নিশ্চিতের জন্য তাই বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা আরও কঠোর করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ♦