জাপানে জন্মহার কমার রেকর্ড, ১৮৯৯ সালের পর সর্বনিম্ন

0

জাপানে চলতি বছরের প্রথম ৯ মাসে জন্মহার কমার রেকর্ড হয়েছে। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের ভাষ্য অনুযায়ী, জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ছয় লাখের কম শিশুর জন্ম হয়েছে।

এ হার বজায় থাকলে ১৮৯৯ সালে রেকর্ড রাখা শুরুর পর থেকে জাপানে এই প্রথমবারের মতো এক বছরে আট লাখের কম শিশুর জন্ম হবে। মন্ত্রণালয় তাদের প্রাথমিক প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে, বছরের প্রথম ৯ মাসে পাঁচ লাখ ৯৯ হাজার ৬৩৬টি শিশু জন্মগ্রহণ করেছে। এ সংখ্যার মধ্যে বিদেশি নাগরিকদের শিশুও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

এ সংখ্যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৩০ হাজার ৯৩৩ বা ৪ দশমিক ৯ শতাংশ কম। উল্লেখ্য, ২০২১ সালে সব মিলিয়ে আট লাখ ১১ হাজার ৬২২টি শিশুর জন্ম হয়। চলতি নভেম্বরের শুরুর দিকে জাপান গবেষণা ইনস্টিটিউট পূর্বাভাস দিয়েছিল, ২০২২ সালে প্রায় সাত লাখ ৭০ হাজার শিশুর জন্ম হবে।

তবে ২০১৭ সালে জনসংখ্যা ও সামাজিক নিরাপত্তা-বিষয়ক জাতীয় ইনস্টিটিউট জানিয়েছিল, ২০৩০ সাল পর্যন্ত জন্মহার কমবে না। মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের মতে, জন্মহারের এ হ্রাস আংশিকভাবে মহামারির কারণেও হতে পারে। মহামারি শুরুর পর জাপানে বিয়ের হার কমে গেছে এবং সন্তান ধারণও কমেছে। জাপানে ২০২০ সালে নিবন্ধিত বিয়ে ১২ দশমিক ৩ শতাংশ কমে দাঁড়ায় পাঁচ লাখ ২৫ হাজার ৪৯০টিতে, বিশ্বযুদ্ধের পর যা সর্বনিম্ন রেকর্ড। এছাড়া নারীদের মাথাপিছু সন্তান জন্মহারও ১ দশমিক ৩ শতাংশে নেমেছে, গোটা বিশ্বে নারীদের মাথাপিছু সন্তান জন্মহারে যা সবচেয়ে কম।

দীর্ঘদিন ধরে জাপানে জন্মহার নিম্নমুখী। এভাবে চলতে থাকলে প্রবীণদের সংখ্যা বাড়বে, অপরদিকে কর্মক্ষম মানুষের সংখ্যাও কমতে থাকবে। প্রবীণদের দেশ হিসেবে পরিচিত জাপানের ২০ শতাংশের বেশি জনগোষ্ঠীর বয়স ৬৫ বছরের বেশি। 

Share.