জানা গেছে, লেনদেন চালু হলে সেল প্রেশারে বিনিয়োগকারীরা আরও ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। সরকার ঘোষিত বর্ধিত ছুটির সঙ্গে সঙ্গতি রেখে ১৬ মে পর্যন্ত বন্ধ থাকছে দুই পুঁজিবাজারে লেনদেন।
পুঁজিবাজারে লেনদেন চালু করার জন্য তিন ভাগের দুই ভাগ ব্রোকারেজ হাউসের অংশ নেয়া বাধ্যতামূলক। কিন্তু বর্তমানে কিছু হাউস মালিক লেনদেন চালুর কথা বললেও বেশিরভাগ মালিকই চাচ্ছেন না। কারণ অধিকাংশ ব্রোকারেজ হাউসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ছুটিতে ঢাকার বাইরে অবস্থান করছেন। এ পরিস্থিতিতে পরিবহন ব্যবস্থা নেই। তাই তারা চাচ্ছেন সরকারি ছুটি শেষ হওয়ার পর লেনদেন চালু করতে।
অন্যদিকে দেশে করোনা পরিস্থিতি দিন দিন আরও খারাপ হচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে যদি লেনদেন চালুর পর তা আবারও বন্ধ করতে হয়, তখন ঢাকায় ফেরা কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বিপদে পড়ে যাবেন। কারণ তখন তারা আবার গ্রামে ফিরে যেতে পারবেন না।
লেনদেন চালু করার জন্য বিএসইসির কার্যক্রম চালু হওয়ার পাশাপাশি তাদের পক্ষ থেকে অনুমতি প্রয়োজন। বিএসইসি সচল না হলে লেনদেন চালু করা সম্ভব নয়। কারণ লেনদেন করার জন্য বিএসইসির সার্ভিলেন্স দরকার। অন্যদিকে বিএসইসি সচল হলেও বাধা থাকবে কমিশন শূন্যতা। বর্তমানে বিএসইসিতে একজন চেয়ারম্যান ও একজন কমিশনার রয়েছেন। ফলে নিয়ম অনুযায়ী তারা সিদ্ধান্ত দিতে পারবেন না। সিদ্ধান্ত দিতে হলে কোরাম পূর্ণ হওয়া প্রয়োজন। দুজন কমিশনার ও চেয়ারম্যান থাকলে এটা সম্ভব।
করোনার বৈরী পরিস্থিতি ও সামনে ঈদ থাকায় লেনদেন চালু হলে সেল প্রেশারে বাজার পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে বলে মনে করছেন বাজারসংশ্লিষ্টরা। কারণ সবাই শেয়ার বিক্রি করে অর্থ ক্যাশ করতে চাইবেন। সে কারণে লেনদেন ঈদের পরে হলে মঙ্গল বলে মন্তব্য করেন তারা।
তবে এ বিষয়ে ভিন্ন মত প্রকাশ করেছেন পুঁজিবাজার বিশ্লেষক অধ্যাপক আবু আহমেদ। তিনি বলেন, মার্কেট যখনই খোলা হয় তখনই খারাপ-ভালো দুটোই হতে পারে। বিশ্বের কোথাও পুঁজিবাজার এভাবে দীর্ঘদিন বন্ধ রাখা হয়নি। বিনিয়োগকারীদের কথা বিবেচনা করে লেনদেন চালু করা উচিত।
৩ মে ডিএসই কর্তৃপক্ষ লেনদেন চালু করার জন্য বিএসইসিতে চিঠি দেয়। চিঠিতে করোনা পরিস্থিতির মধ্যে লেনদেন চালু করার বিষয়ে আবেদন জানানো হয়েছে। এছাড়া চিঠিতে অনেক বিষয়ে অব্যাহতি চাওয়া হয়েছে। বিএসইসি চিঠিটি পর্যালোচনা করেছে। ডিএসই’র ম্যানেজমেন্ট করোনা পরিস্থিতিতে লেনদেন চালু করা যায় কি না, সে বিষয়ে ফিজিবিলিটি স্টাডি করছে। ♦