চুয়াডাঙ্গা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের ১৯৯২ ব্যাচের মিলনমেলা

0

‘বন্ধু’ শব্দটা ছোট হলেও এর পরিধি এতটাই বিস্তৃত যে পরিমাপ করার সাধ্য কারও নেই। তারপরও ছোট পরিসরে বলতে গেলে বন্ধু মানে আত্মার টান, ভালোবাসার বন্ধন, হৃদয়ের স্পর্শ, একে অন্যের ছায়া, বড় রকমের ভরসার জায়গা। ভালোবাসার এই শেকড়ের টানে একে অন্যের সঙ্গে দেখা করতে সম্প্রতি চুয়াডাঙ্গা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের ১৯৯২ ব্যাচের পুনর্মিলনী হয়েছে।

বন্ধুদের আগমনে বিদ্যালয় মাঠ পরিনত হয় মিলনমেলায়। সকালের মিষ্টি রোদে পুরো প্রাঙ্গণ পায় নব উদ্যম। যেখানে অংশ নেয় ব্যবসায়ী ডাক্তার, উকিল, পুলিশ ও সাংবাদিকসহ সব শ্রেণি-পেশার বন্ধুরা।

হাতে লাটিম-নাটাই নিয়ে মাঠ-ঘাট, বই খাতা কাঁধে চেপে সেই প্রাইমারি স্কুল, দুষ্টুমির সেই স্কুলের বারান্দা, স্যারদের হাতে ইচ্ছে করে পিটুনি খাওয়ানো আবার সেই হাতে ভাগ করে একই বক্সের টিফিন খাওয়া, বন্ধুত্বের সূচনাটা এভাবে হলেও সম্পর্কের দৃঢ়তা বেড়েছে অন্যভাবেও।

গ্রিন ও ক্লিন চুয়াডাঙ্গার স্বপ্ন নিয়ে স্কুলপ্রাঙ্গণে ও শহরের বিভিন্ন স্থানে বৃক্ষরোপনের পাশাপাশি নানা শ্রেণী পেশার মানুষের মধ্যে গাছের চারা বিতরণ করেছেন ১৯৯২ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা। তাছাড়া গ্রিন ও ক্লিন চুয়াডাঙ্গার স্বপ্ন বাস্তবায়নের নিজ উদ্যোগেও কাজ করে যাচ্ছেন মিনিস্টার গ্রুপের সম্মানিত চেয়ারম্যান ও এফবিসিসিআই-এর ভাইস প্রেসিডেন্ট ও চুয়াডাঙ্গা আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের ১৯৯২ ব্যাচের শিক্ষার্থী এম এ রাজ্জাক খান রাজ।

এ বিষয়ে ১৯৯২ ব্যাচের শিক্ষার্থী এম এ রাজ্জাক খান রাজ বলেন, ‌‌‌‌‌‌‘‘প্রাইমারির গণ্ডি পেরিয়ে মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক, স্নাতক, স্নাতকোত্তর শেষ করতেও অনেক নাম না জানা মানুষের সঙ্গে বন্ধুত্বের আর্বিভাব হয় আমাদের। কেউবা জীবনের তাগিদে, কেউবা উচ্চতর ডিগ্রির জন্য দেশ ছেড়ে ভিনদেশে। এভাবে সবাই ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকলেও মনের সেই টানটা রয়েই গেছে। সবার ব্যস্ততার মধ্যেও আমরা একত্র হয়ে একটি সুন্দর দিন অতিবাহিত করেছি। এছাড়া আমরা গ্রিন ও ক্লিন চুয়াডাঙ্গার স্বপ্ন দেখি। এ লক্ষ্য বাস্তবায়নের জন্য আমরা বন্ধুরা মিলে স্কুলপ্রাঙ্গণে এবং শহরের বিভিন্ন স্থানে বৃক্ষ রোপন করেছি ও বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের মধ্যে গাছের চারা বিতরণ করেছি। গ্রিন চুয়াডাঙ্গা ক্লিন চুয়াডাঙ্গা স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বৃক্ষরোপন অব্যাহত থাকবে।” 

Share.