বৈশ্বিক চিপ সংকটে যেখানে গাড়িনির্মাতা কোম্পানিগুলো উৎপাদন হ্রাস করছে, সেখানে যুক্তরাষ্ট্রের বৈদ্যুতিক গাড়িনির্মাতা কোম্পানি টেসলা উৎপাদন বাড়িয়ে চলছে। চলতি বছর জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৯ মাসে কোম্পানিটি চীনের সাংহাই প্লান্টে তিন লাখ গাড়ি উৎপাদন করার পরিকল্পনা করেছিল।
এরই মধ্যে লক্ষ্যমাত্রার কাছাকাছি পৌঁছেছে টেসলা।
টেসলার দুটি অনুযায়ী, সাংহাই প্লান্টে বছরের প্রথম ৯ মাসে তিন লাখ গাড়ি নির্মাণ করবে, যেখানে চিপ সংকট থাকা সত্ত্বেও জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে গ্রাহকের জন্য গাড়ি সরবরাহের ক্ষেত্রে ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।
এ প্লান্টে জার্মানি, জাপান ও চীনের বাজারে বিক্রির জন্য টেসলার নতুন ‘মডেল ৩ সেডনস’ ও ‘মডেল ওয়াই’-এর গাড়ি উৎপাদন করা হচ্ছে।
চায়না প্যাসেঞ্জার কার অ্যাসোসিয়েশনের তথ্যমতে, বছরের প্রথম আট মাসে এ প্লান্ট থেকে দুই লাখ ৪০ হাজার গাড়ি পাঠানো হয়েছে, যার মধ্যে অনেক গাড়ি রপ্তানির জন্য ছিল।
প্লান্টের এক কর্মকর্তা বলেছিলেন, এ বছর সাড়ে চার লাখ গাড়ি উৎপাদনের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে, যার মধ্যে ৬৬ হাজার ১০০টি গাড়ি রপ্তানির জন্য রয়েছে।
এদিকে বছরের প্রথম প্রান্তিকে মুনাফার ধারা দ্বিতীয় প্রান্তিকেও অব্যাহত রেখেছে টেসলা। চলতি বছর দ্বিতীয় প্রান্তিকে তাদের মুনাফা এক বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে, প্রান্তিক হিসাবে যা নতুন রেকর্ড।
বৈদ্যুতিক গাড়ির রেকর্ড সরবরাহের ফলে দ্বিতীয় প্রান্তিকে নিট আয় এসেছে এক দশমিক ১৪ বিলিয়ন ডলার, যেখানে এক বছর আগের এ সময়ে আয় ছিল ১০৪ মিলিয়ন ডলার। আগের বছরের চেয়ে নিট আয় বেড়েছে ১০ গুণ। এ সময় রাজস্ব বেড়ে হয়েছে ১২ বিলিয়ন ডলার।
এ মুনাফাকে অবিশ্বাস্য মাইলফলক হিসেবে উল্লেখ করেছেন এলন মাস্ক। তবে তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘পুরো বছর প্রবৃদ্ধি কেমন হবে, তার অনেক কিছু নির্ভর করছে দুর্বল সরবরাহ ব্যবস্থার ওপর।’
ওদিকে সেমিকন্ডাক্টরের অভাবে বিশ্বজুড়ে গাড়িনির্মাতা কোম্পানিগুলো যখন সংকটে রয়েছে, তখন এটিকে বাজার ধরার সুযোগ হিসেবে দেখছেন মাস্ক।
টেসলা জানিয়েছে, বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে গাড়ি সরবরাহ করা হয়েছে দুই লাখ এক হাজার ২৫০ ইউনিট। উৎপাদন করেছিল দুই লাখ ছয় হাজার ৪২১ ইউনিট। ♦