তালেবানের ক্ষমতা দখল মেনে নিয়েছেন জানিয়ে আফগানিস্তানের ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানির ভাই হাশমত ঘানি বলেছেন, নানা মতের মানুষের প্রতিনিধিত্বকারী সরকার চান তিনি।
আজ দেশটির রাজধানী কাবুলের পশ্চিমাঞ্চলের বাড়ি থেকে আল জাজিরার কাছে এ কথা বলেন তিনি।
হাশমত বলেন, বিদেশি সেনাদের আফগানিস্তান ছাড়ার বাকি আর কয়েক দিন। এমন বাস্তবতায় আফগান জনগণের উচিত নতুন শাসন মেনে নেয়া।
আফগানিস্তানের যাযাবর কোচি জনগোষ্ঠীর সর্দার ও ব্যবসায়ী হাশমত গত কয়েক দিন তালেবান নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন।
তার ভাষ্য, প্রভাবশালী রাজনীতিক, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও ব্যবসায়ীদের প্রতি একটি বার্তা হিসেবে তিনি ক্ষমতার পালাবদলকে স্বীকৃতি দিতে রাজি হয়েছেন।
আফগানিস্তানের ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্টের ভাই বলেন, স্কুল, হাসপাতাল, দোকানপাট ও বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে লাখ আফগানি (আফগানিস্তানের মুদ্রা) বিনিয়োগ করা ব্যবসায়ীদের পলায়ন উন্মুখ হাজার মানুষের সঙ্গে যোগ দেয়াটা হবে দেশের অর্থনীতি ও সার্বিক ভবিষ্যতের জন্য ‘বিপর্যয়কর’।
গত ১৫ আগস্ট কাবুলের প্রেসিডেন্ট প্রাসাদ দখলের মধ্য দিয়ে আফগানিস্তানে ক্ষমতার পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নেয় তালেবান। তারা প্রাসাদে আসার আগে দেশ ছেড়ে পালান প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি।
তার ভাই হাশমত বলছেন, দেশ ছাড়ার কোনো ইচ্ছা তার কখনোই ছিল না।
‘আমি পালিয়ে সেখানে (বিদেশ) গেলে আমাদের লোকজন, গোত্রের কী হতো…আমার শেকড় এখানে। প্রয়োজনের সময় লোকজনকে ছেড়ে পালিয়ে গেলে কী বার্তা যেত’, বলেন হাশমত।
আশরাফ ঘানি প্রাণ হাতে নিয়ে দেশ ছাড়তে পারায় আনন্দিত তার ভাই হাশমত। তিনি বলেন, ‘তিনি (আশরাফ) আকস্মিক হামলায় প্রাণ হারালে বা অন্য কোনোভাবে নিহত হলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতো।’
তবে হাশমত ঘানি তার ভাইয়ের সঙ্গে প্রতারণা করেছেন বলে দাবি অনেকের। নানা সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত খবর অনুযায়ী, হাশমত তালিবান নেতা খলিল উর রহমান ও মুফতি মুহাম্মদ জাকিরের উপস্থিতিতে তালিবানদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছেন।
প্রাক্তন প্রেসিডেন্টের ভাইয়ের এ কাজ সে দেশের মানুষ এখনও মেনে নিতে পারছেন না বলে দাবি করা হয়েছে একাধিক সংবাদমাধ্যমে। তবে হাশমতের প্রশংসা করেছেন তালেবান নেতারা। ♦