গ্রামীণফোন পেল ‘বেস্ট অর্গানাইজেশন ফর ওয়ার্কপ্লেস অ্যান্ড পিপল ডেভেলপমেন্ট’ পুরস্কার

0

শিয়ান লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ডস (এএলএ) ২০২১-এ ‘অর্গানাইজেশনাল অ্যাওয়ার্ডস’ বিভাগে ‘বেস্ট অর্গানাইজেশন ফর ওয়ার্কপ্লেস অ্যান্ড পিপল ডেভেলপমেন্ট’ পুরস্কার অর্জন করেছে ডিজিটাল বাংলাদেশের কানেক্টিভিটি পার্টনার গ্রামীণফোন। আজ এ সম্মানজনক আয়োজনের ১৯তম আসর অনুষ্ঠিত হয়েছে।

অনুষ্ঠানে কর্মীদের সুস্থতা ও সব কর্মীকে সমান অগ্রাধিকার দেয়াসহ অন্তর্ভুক্তিমূলক সংস্কৃতি বিকাশে গ্রামীণফোনের ভূমিকা ও দৃষ্টিভঙ্গির কারণে প্রতিষ্ঠানটিকে এ পুরস্কার দেয়া হয়।

এশিয়ায় ব্যবসায়িক নেতৃত্বের বিষয়ে পৃষ্ঠপোষকতা ও এক্ষেত্রে ভালো উদ্যোগের প্রচারে এশিয়ান লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখে। ২০১১ সাল থেকে এ পুরস্কার অসংখ্য প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিকে মানবসম্পদের সুস্থ ও ধারাবাহিক সমৃদ্ধি নিশ্চিত করার লক্ষে এগিয়ে যেতে অনুপ্রাণিত করে আসছে। চলতি বছর অনুষ্ঠানটি ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত হয়েছে।

অনুষ্ঠানে এশিয়ান লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ডস’র দক্ষ জুরি কাউন্সিল নতুন সম্ভাবনা উন্মোচনের লক্ষে গ্রামীণফোনের অসামান্য প্রচেষ্টাকে অভিনন্দন জানান। খাত সংশ্লিষ্ট তিন শতাধিক ঊর্ধ্বতন নেতা এ অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছেন।

গ্রামীণফোনের প্রধান মানবসম্পদ কর্মকর্তা সৈয়দ তানভির হোসেন বলেন, ‘কর্মীদের সুস্থতা, অন্তর্ভুক্তিমূলক সংস্কৃতি, প্রজেক্ট অটোমেশন, ডিজিটালি পরিচালিত এইচআর সর্বপরি মানবসম্পদ ও নেতৃত্ব বিকাশকে অগ্রাধিকার দিয়ে বিবেচনা করে গ্রামীণফোন। আমাদের দায়িত্বশীল ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান হিসেবে যা এ খাতে এগিয়ে থাকতে সহায়তা করেছে। এশিয়ান লিডারশিপ অ্যাওয়ার্ড ২০২১ অর্জন আমাদের জন্য অত্যন্ত সম্মানের। আমরা এই অর্জন গ্রামীণফোন পরিবারের সব নিবেদিত কর্মীর প্রতি উৎসর্গ করছি।’

দেশের কানেক্টিভিটি পার্টনার হিসেবে গ্রামীণফোন ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের পূর্ণ সম্ভাবনা উন্মোচনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। গ্রামীণফোন এর কর্মীদের দক্ষ করে গড়ে তুলতে খাত সংশ্লিষ্ট নানা প্রশিক্ষণ ও নতুন নানা বিষয় শেখার সুযোগ করে দিয়েছে—বর্তমানে বৈশ্বিকভাবে কাজের ক্ষেত্রে এসব প্রশিক্ষণের চাহিদা রয়েছে। গ্রামীণফোন এইচআর, রোবোটিকস প্রসেস অটোমেশন (আরপিএ) ও ওয়ানজিপির মতো বিভিন্ন বিষয়ে উদ্ভাবন এবং ডিজিটালাইজেশনকে অগ্রাধিকার দেয়, যা প্রতিষ্ঠানটিকে ডিজিটাল এইচআর বিকাশে অন্যতম অগ্রণী প্রতিষ্ঠান হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে সহায়তা করেছে। গ্রামীণফোন মানুষকে প্রয়োজনীয় বিষয়ের সঙ্গে যুক্ত করতে বিশ্বাসী। তাই মানুষকে কেন্দ্র করে চারটি বিষয় গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করে প্রতিষ্ঠানটি- ‘অলওয়েজ এক্সপ্লোর’, ‘ক্রিয়েট টুগেদার’, ‘কিপ প্রমিসেস’ ও ‘বি রেসপেক্টফুল’।

গ্রামীণফোন লি.
টেলিনর গ্রুপের অঙ্গসংগঠন গ্রামীণফোন ৭৬ মিলিয়নের বেশি গ্রাহক নিয়ে বাংলাদেশের অগ্রণী টেলিযোগাযোগ প্রতিষ্ঠান। ১৯৯৭ সালে যাত্রা শুরু করার পর দেশব্যাপী সর্ববৃহৎ নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা গড়ে তুলেছে গ্রামীণফোন যার মাধ্যমে দেশের ৯৫ শতাংশ মানুষ সেবা নিতে পারে।

ব্র্যান্ড প্রতিজ্ঞা ‘‘চলো বহুদূর’’ এর আওতায় গ্রামীণফোন গ্রাহকদের জন্য সর্বোত্তম মোবাইল ডেটা, ভয়েস সেবা ও সবার জন্য ইন্টারনেট সেবাদানে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।

গ্রামীণফোন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত।

Share.