পর্ষদ সভার সময় ঘোষণা করেছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত টেলিকমিউনিকেশন খাতের প্রতিষ্ঠান গ্রামীণফোন লিমিটেড। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) বিনিয়োগকারীদের এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, ১৯ এপ্রিল বেলা ২টা ৩৫ মিনিটে কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের সভা অনুষ্ঠিত হবে।
সভায় ৩১ মার্চ, ২০২১ সমাপ্ত তৃতীয় প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হবে।
৩১ ডিসেম্বর ২০২০ সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ সর্বশেষ ১৪৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেয়ার ঘোষণা করেছে। এর আগে অন্তর্বর্তীকালীন ১৩০ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছিল। অর্থাত্ আলোচিত হিসাববছরের জন্য মোট ২৭৫ শতাংশ লভ্যাংশ দিচ্ছে কোম্পানিটি।
আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২৭ টাকা ৫৪ পয়সা। শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৩৮ টাকা ৫৯ পয়সা। আর এ হিসাববছরে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ২৪ টাকা ৮৬ পয়সা, যা তার আগের বছর একই সময় ছিল যথাক্রমে ২৫ টাকা ৫৬ পয়সা, ২৮ টাকা ৪০ পয়সা ও ৪২ টাকা ৫০ পয়সা।
ঘোষিত লভ্যাংশ বিনিয়োগকারীদের সম্মতিক্রমে অনুমোদনের জন্য ১৯ এপ্রিল বেলা সাড়ে ১০টায় অনলাইনে বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে।
গ্রামীণফোন লিমিটেড
দুই দশক আগে যাত্রা করে গ্রামীণফোন। বর্তমানে বাংলাদেশের ১ নম্বর নেটওয়ার্ক গ্রামীণফোন।
গ্রাহকের জীবন ডিজিটালাইজ করা ও সামাজিক ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছে গ্রামীণফোন। দ্রুতগতির থ্রিজি ও ফোরজি ইন্টারনেটের উপর ভিত্তি করে গ্রামীণফোন বিনোদননির্ভর জিপি মিউজিক, ওয়াওবক্স ও বায়োস্কোপের মতো ইনোভেটিভ ডিজিটাল সল্যুশন সরবরাহ করেছে।
স্বাস্থ্য প্রয়োজনীয়তার জন্য টনিক ও গ্রাহকদের জীবনকে আরও সুশৃঙ্খল ও নিয়ন্ত্রিত করার জন্য জিপে ও মাইজিপির মতো সেবাও দিচ্ছে।
দীর্ঘ এ পথচলায় গ্রামীণফোন গ্রাহকদের বিশ্বাস অর্জন করেছে। প্রতিষ্ঠানটি দেশব্যাপী নেটওয়ার্ক অবকাঠামো তৈরির জন্য এখন পর্যন্ত প্রায় ৩৪৭.৪ বিলিয়ন টাকা বিনিয়োগ করেছে।
বাংলাদেশের সর্বোচ্চ করদাতা প্রতিষ্ঠানের একটি গ্রামীণফোন। দেশে বর্তমানে প্রায় সব উপজেলা ও জেলা শহরে ৩,৭৬,২৮৫ ইউনিক রিচার্জ আউটলেট রয়েছে। এ ছাড়া বিভাগীয় শহরগুলোয় ৬,৮৩৬ এক্সপ্রেস স্টোর ও গ্রাহকদের ডিজিটাল সেবার অভিজ্ঞতা দেয়ার লক্ষে দুটি জিপি লাউঞ্জ রয়েছে।
গ্রামীণফোনে ২৪০০ স্থায়ী ও অস্থায়ী কর্মচারী রয়েছে।
জিপি একসিলারেটর প্রোগ্রামের আওতায় এখন পর্যন্ত ২৬ স্টার্টআপ কোম্পানিকে নগদ ২.৯৮ মিলিয়নের সহায়তা ও অ-আর্থিক ১৪ মিলিয়ন টাকার সহায়তা দিয়েছে গ্রামীণফোন।
২০০৯ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয় গ্রামীণফোন লিমিটেড। বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটাগরিতে অবস্থান করেছে
ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, চার হাজার কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে প্রতিষ্ঠানটির পরিশোধিত মূলধন এক হাজার ৩৫০ কোটি ৩০ লাখ টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ এক হাজার ৬৯২ কোটি ৫৭ লাখ টাকা। কোম্পানিটির ১৩৫ কোটি তিন লাখ ২২টি শেয়ার রয়েছে। মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা বা পরিচালকের কাছে রয়েছে ৯০ শতাংশ। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী চার দশমিক ৫৫ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের তিন দশমিক ৩২ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে রয়েছে দুই দশমিক ১৩ শতাংশ শেয়ার রয়েছে। ♦