গ্রামীণফোনের ঋণমান প্রকাশ

0

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত গ্রামীণফোনের ঋণমান নির্ণয় করেছে ক্রেডিট রেটিং ইনফরমেশন অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেড (ক্রিসেল) এবং আরগুস ক্রেডিট রেটিং সার্ভিসেস। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

গ্রামীণফোন দীর্ঘমেয়াদে রেটিং পেয়েছে ‘এএএ’। স্বল্পমেয়াদে পেয়েছে ‘এসটি-১’। ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩ সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক তথ্যের আলোকে এ রেটিং সম্পন্ন হয়েছে।

৩১ ডিসেম্বর ২০২৩ সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ সর্বশেষ ১২৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেওয়ার ঘোষণা করেছে, যা আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির মোট মুনাফার ৫১ দশমিক ০৩ শতাংশ।

আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২৪ টাকা ৪৯ পয়সা এবং ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩ শেয়ারপ্রতি সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৪৯ টাকা ৩৯ পয়সায়। এই হিসাববছরে শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ৪৪ টাকা ৮৮ পয়সা। ঘোষিত লভ্যাংশ বিনিয়োগকারীদের সম্মতিক্রমে অনুমোদনের জন্য আগামী ২ মে বেলা সাড়ে ১০ টায় বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাবছরের জন্য কোম্পানিটি ৯৫ শতাংশ চূড়ান্ত লভ্যাংশ দিয়েছে। এর আগে অন্তর্বর্তীকালীন ১২৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল কোম্পানিটি। অর্থাৎ ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বর হিসাববছরের জন্য সর্বমোট ২২০ শতাংশ দিয়েছিল গ্রামীণফোন।

আলোচিত সময়ে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২২ টাকা ২৯ পয়সা। ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বরে শেয়ারপ্রতি নেট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৩৪ টাকা ২২ পয়সায়। এছাড়া আলোচিত সময়ে তাদের শেয়ারপ্রতি নগদ অর্থপ্রবাহ হয়েছে ৪৭ টাকা ২৬ পয়সা।

গ্রামীণফোন ২০০৯ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটাগরিতে অবস্থান করছে। চার হাজার কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে পরিশোধিত মূলধন এক হাজার ৩৫০ কোটি ৩০ লাখ টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ দুই হাজার ৪৮৫ কোটি ৫০ লাখ টাকা।

ডিএসইর সর্বশেষ তথ্যমতে, কোম্পানির মোট ১৩৫ কোটি তিন লাখ ২২টি শেয়ার রয়েছে। কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে ৯০ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক ৫ দশমিক ৯৪ শতাংশ, বিদেশি বিনিয়োগকারীদের কাছে ১ দশমিক ৫০ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে রয়েছে বাকি ২ দশমিক ৫৬ শতাংশ শেয়ার। 

Share.