গ্রামীণফোন শ্রমিক কল্যাণ তহবিলে ৩১.৪ কোটি টাকা দিল

0

ভিড-১৯ পরিস্থিতিতে শ্রমিকদের কল্যাণে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন তাহবিলে ৩১ কোটি ৪০ লাখ ৪ হাজার ৪০৩ টাকা দিয়েছে গ্রামীণফোন।

গতকাল সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ানের হাতে গ্রামীণফোনের প্রধান মানব সম্পদ কর্মকর্তা (সিএইচআরও) সৈয়দ তানভির হোসনের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দল চেক হস্তান্তর করেন।

অনুষ্ঠানে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ও বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান বেগম মন্নুজান সুফিয়ান বলেন, ‘শ্রমজীবী মেহনতি মানুষের কল্যাণের জন্য বাংলাদেশ শ্রম আইন অনুযায়ী সরকার ফাউন্ডেশন তহবিল গঠন করে। এ তহবিল থেকে প্রাতিষ্ঠানিক অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের শ্রমিকদের কর্মস্থলে দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যুতে, আহত, দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত শ্রমিকের চিকিৎসা এবং শ্রমিকের মেধাবী সন্তানের উচ্চশিক্ষায় সহায়তা দেয়া হয়। করোনার এ দুর্যোগে চলতি বছর প্রায় দুই হাজার শ্রমিককে এ তহবিল থেকে প্রায় সোয়া ছয় কোটি টাকা সহায়তা দেয়া হয়েছে।’

শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন সবসময় শ্রমিকদের কল্যাণে পাশে থাকবে বলে প্রতিমন্ত্রী উল্লেখ করেন।

সৈয়দ তানভির হোসন বলেন, ‘কভিড-১৯ এর এই প্রতিকুল সময়ে আমরা দেশের মানুষের পাশে থাকার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করছি। আমাদের এই প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে। জাতিগতাভাবে আমরা যেভাবে কভিডকে মোকাবিলা করে দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থার চ্যালেন্জিং সময় পার করছি তা সত্যিই দৃষ্টান্তমূলক। আমরা বিশ্বাস করি শ্রমীক কল্যানে আমাদের অবদানে অন্যরা উৎসাহিত হবেন এবং শ্রমিকদের প্রয়োজনে পাশে দাড়াঁবেন।’

গ্রামীণফোনসহ দেশি, বিদেশি ও বহুজাতিক প্রতিষ্ঠান মিলে ১৬৫ প্রতিষ্ঠান তাদের লভ্যাংশের নির্দিষ্ট অংশ নিয়মিত এ তহবিলে জমা দিয়ে আসছে। লভ্যাংশের নির্দিষ্ট অংশ জমা দেয়া প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা প্রতি মাসে বাড়ছে বলে অনুষ্ঠানে জানানো হয়। বর্তমানে এ তহবিলে জমার পরিমাণ প্রায় ৪৪২ কোটি টাকা।

গ্রামীণফোন তাদের লভ্যাংশের একটি নির্দিষ্ট অংশ বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন তহবিলে নিয়মিতভাবে জমা দিচ্ছে। এ তহবিলে সর্বোচ্চ জমাদানকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে গ্রামীণফোন এখন পর্যন্ত ১৮৩ কোটি ৮৪ হাজার ৩৬৩ টাকা জমা দিয়েছে।

চেক হস্তান্তর অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব কে এম আব্দুস সালাম, বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক বেগম জেবুন্নেছা করিম, শাকিলা জেরিন আহমেদ, পরিচালক ওয়ার্কাস ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশান, শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালক গৌতম কুমার, গ্রামীণফোনের পাবলিক অ্যান্ড রেগুলেটরি অ্যাফেয়ার্স প্রধান হোসেন সাদাত, এইচ আর বিজনেস পার্টনার অ্যান্ড সার্কেল এইচ আর প্রধান ইয়াসির মাহমুদ খান, ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিলেশনস প্রধান কে. এম. সাব্বির আহমেদ ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিলেশনস বিভাগের সদস্য মো. আসাদুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।

গ্রামীণফোন লি.
টেলিনর গ্রুপের অঙ্গসংগঠন গ্রামীণফোন ৭৬ মিলিয়নের বেশি গ্রাহক নিয়ে বাংলাদেশের অগ্রণী টেলিযোগাযোগ প্রতিষ্ঠান। ১৯৯৭ সালে যাত্রা শুরু করার পর দেশব্যাপী সর্ববৃহৎ নেটওয়ার্ক ব্যবস্থা গড়ে তুলেছে গ্রামীণফোন যার মাধ্যমে দেশের ৯৫ শতাংশ মানুষ সেবা নিতে পারে।

ব্র্যান্ড প্রতিজ্ঞা ‘‘চলো বহুদূর’’ এর আওতায় গ্রামীণফোন গ্রাহকদের জন্য সর্বোত্তম মোবাইল ডেটা, ভয়েস সেবা ও সবার জন্য ইন্টারনেট সেবাদানে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।

গ্রামীণফোন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত।

Share.