গ্রামীণফোন (জিপি) ‘বেস্ট প্রেজেন্টেড অ্যানুয়াল রিপোর্ট ২০১৯ অ্যাওয়ার্ড’র স্বীকৃতি পেয়েছে। সাউথ এশিয়ান ফেডারেশন অব অ্যাকাউন্ট্যান্টসের (এসএএফএ) কমিউনিকেশন অ্যান্ড ইনফরমেশন টেকনোলজি ক্যাটাগরির অধীনে গ্রামীণফোনকে এ পুরস্কার দেয়া হয়েছে।
এ পুরস্কার প্রাপ্তি প্রতিষ্ঠানটির ব্যবসায়িক স্বচ্ছতা, নীতি ও করপোরেট গভর্নেন্স মেনে চলার বিষয়গুলোকে তুলে ধরে। গ্রামীণফোনের দায়িত্বশীলতার সঙ্গে ব্যবসা পরিচালনার বহিঃপ্রকাশও ঘটেছে এ পুরস্কার প্রাপ্তির মাধ্যমে।
গ্রামীণফোনের কোম্পানি সেক্রেটারি এসএম ইমদাদুল হক বলেন, ‘এই স্বীকৃতির মাধ্যমে ব্যবসা পরিচালনার ক্ষেত্রে গ্রামীণফোনের স্বচ্ছতা, ব্যবসায়িক নীতি ও করপোরেট গভর্নেন্সের বিষয়গুলোর বিষয়ে আমরা অন্যদের স্বীকৃতি পেরেছি। এ কারণে আমি আমার সব সহকর্মীকে ধন্যবাদ জানাই; তারাই এই প্রয়োজনীয় বিষয়গুলোকে যথাযথ গুরুত্ব সহকারে ও নির্ভুলভাবে সম্পাদন করেছে এবং বিশ্বব্যাপী বাংলাদেশের ইতিবাচক ভাবমূর্তি তৈরিতে আমাদের সাহায্য করেছে। আর্থিক কর্মকাণ্ডের অডিট শেষ করার ক্ষেত্রে গ্রামীণফোন প্রয়োজনীয় সব বিধি অনুসরণ করেছে। এর মাধ্যমে অর্গানাইজেশনাল অ্যাকাউন্টেবিলিটি প্রতিষ্ঠা করাই আমাদের লক্ষ। আমাদের শক্তিশালী করপোরেট গভর্নেন্স উচ্চ মানসম্পন্ন আর্থিক বিবরণী তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।’
দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের প্রকাশিত প্রতিবেদনগুলোর ট্রান্সপারেন্সি, অ্যাকাউন্ট্যাবিলিটি ও গভর্নেন্সের ক্ষেত্রে সাফা’র কমিটি ফর ইমপ্রুভমেন্টের মূল্যায়নের ভিত্তিতে সব ক্যাটাগরিতে পুরস্কার দেয়া হয়।
দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের অ্যাকাউন্টেন্সি পেশাদারদের সেবাদান ও বিশ্বব্যাপী অ্যাকাউন্টেন্সির ভূমিকা বজায় রাখতে সাফা গঠিত হয়। এ অ্যাকাউন্টিং বডিস ফোরামটি দক্ষিণ এশিয়া আঞ্চলিক সহযোগিতা প্রতিষ্ঠানের (সার্ক) তালিকাভুক্ত দেশগুলোর অ্যাকাউন্টিং প্রফেশন তৈরিতে পজিশনিং, মেইনটেনিং ও ডেভেলপিংয়ের বিষয়গুলো কার্যকর করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
বিশ্বজুড়ে অ্যাকাউন্টেসির ক্ষেত্রে ধারাবাহিকভাবে এ পেশার কার্যক্রম নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ সাফা; যা জনগণের স্বার্থ ও সামগ্রিক অর্থনৈতিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। দক্ষিণ এশিয়ার প্রতিষ্ঠানগুলোর আর্থিক প্রতিবেদন তৈরিতে উৎকর্ষের বিষয়ে স্বীকৃতিদানে ইন্টারন্যাশনাল অ্যাকাউন্টিং স্ট্যান্ডার্ড বোর্ড (আইএএসবি) ফ্রেমওয়ার্ক অনুযায়ী সাফা বেস্ট প্রেজেন্টেড অ্যানুয়াল রিপোর্ট অ্যাওয়ার্ড দেয়।
গ্রামীণফোন
২২ বছর আগে যাত্রা করে গ্রামীণফোন। বর্তমানে বাংলাদেশের ১ নম্বর নেটওয়ার্ক গ্রামীণফোন।
গ্রাহকের জীবন ডিজিটালাইজ করা ও সামাজিক ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছে গ্রামীণফোন। দ্রুতগতির থ্রিজি ও ফোরজি ইন্টারনেটের উপর ভিত্তি করে গ্রামীণফোন বিনোদননির্ভর জিপি মিউজিক, ওয়াওবক্স ও বায়োস্কোপের মতো ইনোভেটিভ ডিজিটাল সল্যুশন সরবরাহ করেছে।
স্বাস্থ্য প্রয়োজনীয়তার জন্য টনিক ও গ্রাহকদের জীবনকে আরও সুশৃঙ্খল ও নিয়ন্ত্রিত করার জন্য জিপে ও মাইজিপির মতো সেবাও দিচ্ছে।
দীর্ঘ এ পথচলায় গ্রামীণফোন গ্রাহকদের বিশ্বাস অর্জন করেছে। প্রতিষ্ঠানটি দেশব্যাপী নেটওয়ার্ক অবকাঠামো তৈরির জন্য এখন পর্যন্ত ৩৪৭.৪ বিলিয়ন টাকা বিনিয়োগ করেছে।
বাংলাদেশের সর্বোচ্চ করদাতা প্রতিষ্ঠানের একটি গ্রামীণফোন। দেশে বর্তমানে প্রায় সব উপজেলা ও জেলা শহরে ৩,৭৬,২৮৫ ইউনিক রিচার্জ আউটলেট রয়েছে। এ ছাড়া বিভাগীয় শহরগুলোয় ৬,৮৩৬ এক্সপ্রেস স্টোর ও গ্রাহকদের ডিজিটাল সেবার অভিজ্ঞতা দেয়ার লক্ষে দুটি জিপি লাউঞ্জ রয়েছে।
গ্রামীণফোনে ২৪০০ স্থায়ী ও অস্থায়ী কর্মচারী রয়েছে।
জিপি একসিলারেটর প্রোগ্রামের আওতায় এখন পর্যন্ত ২৬ স্টার্টআপ কোম্পানিকে নগদ ২.৯৮ মিলিয়নের সহায়তা ও অ-আর্থিক ১৪ মিলিয়ন টাকার সহায়তা দিয়েছে গ্রামীণফোন। ♦