জ্বালানিসংকট নিয়ে উদ্যোক্তারা যে কষ্টে রয়েছেন, তা আবার সামনে এনেছেন তৈরি পোশাকশিল্প মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ’র সভাপতি ফারুক হাসান। তিনি বলেছেন, ‘সাম্প্রতিক সময়ে বিদ্যুৎ সরবরাহে ব্যাপক উন্নতি হয়েছে। এর ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে হবে। তবে গ্যাস নিয়ে আমরা এখনও কষ্ট পাচ্ছি। সরকার কাজ করছে। আশা করি, যেসব চ্যালেঞ্জ আছে, তা সমাধান পাবে।’
‘মেড ইন বাংলাদেশ উইক’ উদযাপন পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে গতকাল শনিবার রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে এসব কথা বলেন বিজিএমইএর সভাপতি ফারুক হাসান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সহসভাপতি এস এম মান্নান, শহিদউল্লাহ আজিম, খন্দকার রফিকুল ইসলাম প্রমুখ।
পোশাকশিল্পে বাংলাদেশের ব্র্যান্ডিং বা ইতিবাচক ভাবমূর্তি গড়ে তুলতে ১২ থেকে ১৮ নভেম্বর ‘মেড ইন বাংলাদেশ উইক’ উদযাপন করে বিজিএমইএ। এতে সহায়তা করে বাংলাদেশ অ্যাপারেল এক্সচেঞ্জ (বিএই)। সাত দিনের এ উদযাপনে ডেনিম এক্সপো, ঢাকা অ্যাপারেল এক্সপো, ঢাকা অ্যাপারেল সামিটসহ বিভিন্ন আয়োজন ছিল।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) দেশগুলোয় মূল্যষ্ফীতি বেড়েছে। সে কারণে নিত্যপণ্য ছাড়া অন্যান্য পণ্যের বিক্রি কমে গেছে। তাদের গুদামে পণ্যের মজুত জমে যাওয়ায় বাংলাদেশে তৈরি পোশাকের ক্রয়াদেশ কম। দুই মাস ধরে বাংলাদেশের উদ্যোক্তারা এ সমস্যার কথা বারবার বলে আসছেন। তবে গতকাল সংবাদ সম্মেলনে ফারুক হাসান বলেন, ‘কিছু কিছু কারখানা ভালো ক্রয়াদেশ পাচ্ছে। যদিও এটি স্থায়ী সমাধান নয়। আমাদের অপ্রচলিত বাজারে প্রবেশ করতে হবে। সে চেষ্টাই করা হচ্ছে।’
সাত দিনের আয়োজনে বিভিন্ন বিদেশি ব্র্যান্ড ও ক্রেতা প্রতিষ্ঠানের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধি এসেছিলেন উল্লেখ করে বিজিএমইএ’র সভাপতি বলেন, পিডিএস নামের ক্রেতা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ থেকে বছরে গড়ে ১০০ কোটি ডলারের তৈরি পোশাক কিনে থাকে। তারা ভবিষ্যতে তা দ্বিগুণ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। অন্য একটি শীর্ষস্থানীয় ক্রেতা প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা বলেছেন, তারা বাংলাদেশে থাকবেন। ইরাক থেকে ৪৩ ও মধ্যপ্রাচ্য থেকে ১৫০ জন ক্রেতা এসেছেন। তাদের কাছ থেকে ক্রয়াদেশ মিলেছে। ♦