আন্তর্জাতিক ক্রিকেট তিন ফরম্যাটে খেলা হয়- সাদা পোশাকে টেস্ট ক্রিকেট আর রঙিন পোশাকে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট। এর বাইরে জনপ্রিয় হচ্ছে দশ ওভারের টি-টেন ক্রিকেট।
বিশ্বের নামীদামী তারকা ক্রিকেটারদের অংশগ্রহণে কয়েক বছর ধরে চলছে ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক টি-টেন ক্রিকেট লিগ। সাবেক তারকরা একে, ‘ক্রিকেটেইনমেন্ট’ হিসেবে অভিহিত করেছেন।
এরই ধারাবাহিকতায় চলতি মাসে দুবাইয়ে শুরু হবে টি-টেন লিগের নতুন আসর। এ ফরম্যাটের চাহিদা বিবেচনায় সাবেক কিংবদন্তী ক্রিকেটাররা টি-টেনে ক্রিকেটের ভবিষ্যত দেখছেন। বিশেষ করে অলিম্পিকে ক্রিকেট অন্তর্ভুক্তির ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রাখতে পারে এ ফরম্যাটটি- এমন মনে করেন তারা।
মেরিলেবোন ক্রিকেট ক্লাবের (এমসিসি) প্রেসিডেন্ট ও কিংবদন্তি ব্যাটসম্যান কুমার সাঙ্গাকারার মতে, কুড়ি ওভারের টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট দিয়ে শুরু হয়েছিল অলিম্পিকে খেলাটির অন্তর্ভুক্তির জোর আলোচনা। এবার টি-টেন ক্রিকেট দিয়ে সেটি শিগগির বাস্তবায়ন হতে পারে। আসন্ন টি-টেন লিগে টিম আবুধাবির মেন্টর হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন শ্রীলঙ্কান কিংবদন্তি।
তাঁর মতো অনেক লিজেন্ড মনে করেন, অলিম্পিকে ক্রিকেট অন্তর্ভুক্তির ক্ষেত্রে বড় ইতিবাচক সুযোগ এনে দিয়েছে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট।
তারা মনে করেন, প্রতিটি দেশের ক্রিকেট বোর্ডকে এগিয়ে আসতে হবে। আইসিসিতে জোর তাগাদা দিতে হবে। অলিম্পিকে এমন ফরম্যাট দিতে হবে, যেখানে সময়ের হিসেবটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে, অলিম্পিকের দর্শকদের আটকে রাখতে হবে। কারণ তারা অন্যান্য ক্রিকেট দর্শকদের মতো নয়। সম্পূর্ণ নতুন একটা দর্শকগোষ্ঠী।
কমনওয়েলথ গেমসের কয়েক আসরে ক্রিকেট হয়েছে। এবার অলিম্পিকের পালা।
২৮ জানুয়ারি শুরু হবে দুবাই টি-টেন লিগের চতুর্থ আসর। চলবে ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। ২০১৭ সালে এ লিগের প্রথম আসর বসে।
টি-১০ লিগে এবারের দলগুলো
-বাংলা টাইগার্স-
ইসুরু উদানা, জনসন চার্লস, আন্দ্রে ফ্লেচার, টম মুরস, কায়েস আহমেদ, ডেভিড ভিজা, চিরাগ সুরি, মোহাম্মদ ইরফান, অ্যাডাম হোজ, করিম জানাত, আরিয়ান লাকরা, নূর আহমেদ, ফজল হক ফারুকী, আফিফ হোসেন ধ্রুব, মেহেদী হাসান ও মুজিব-উর-রহমান।
-দিল্লী বুলস-
ডোয়েইন ব্রাভোম এলভিন লুইস, দাসুন শানাকা, অ্যাডাম লিথম শারফান রাদারফোর্ড, মোহাম্মদ নবী, আলি খান, দুশমান্থা চামীরা, রহমানউল্লাহ গুরবাজ, ফিডেল এডওয়ার্ডস, শীরাজ আহমেদ, কাশিদ দাউড, ওয়াকার শালমাখীল, নাঈম ইয়ং ও আমাদ বাট।
-মারাঠা অ্যারাবিয়ান্স-
শোয়েব মালিক, লরি ইভান্স, মোহাম্মদ হাফিজ, মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত, তাসকিন আহমেদ, প্রভীন তাম্বে, ঈষান মালহোত্রা, সোমপাল কামি, মুক্তার আলি, আমজাদ গুল, আবদুল শাকুর, মারুফ মার্চেন্ট ও সৈয়দ শাহ।
-পুনে ডেভিলস-
থিসারা পেরেরা, মোহাম্মদ আমির, হার্ডাস ভিলোয়েন, স্যাম বিলিংস, চামারা কাপুগেদারা, অজান্তা মেন্ডিস, ডেভন থমাস, দারভিশ রাসুলি, নাসির হোসেন, কেনার লুইস, আসিফ খান, মোহাম্মদ বুটা, দীনেশ কুমার, ভৃত্য অরভিন্দ, করন কেসি ও মুনিস আনসারি।
-কালান্দার্স-
শহীদ আফ্রিদি, টম ব্যান্টন, ক্রিস জর্ডান, স্যামিত প্যাটেল, ফিল সল্ট, সোহেল তানভীর, আসিফ আলি, হাসান আলি, সোহেল আখতার, শারজিল খান, সুলতান আহমেদ, ফায়াজ আহমেদ, আজমতউল্লাহ উমারজাই, মাজ খান, বেন ডাঙ্ক ও খুরশিদ আনোয়ার।
-টিম আবু ধাবি-
ক্রিস গেইল, ক্রিস মরিস, লুক রাইট, নাভীন-উল-হক, অভিষকা ফার্নান্দো, উসমান শিনওয়ারি, ওবেদ ম্যাকয়, হেইডেন ওয়ালশ, নাজিবুল্লাহ জাদরান, বেন কক্স, রোহান মুস্তাফা, কার্তিক মেইয়াপ্পান, লিওনার্দো জুলিয়েন, কুশাল মল্লা ও অ্যালেক্স হেলস।
-নর্দার্ন ওয়ারিয়র্স-
আন্দ্রে রাসেল, রোভম্যান পাওয়েল, নিকোলাস পুরান, ফ্যাবিয়েন অ্যালেন, লেন্ডল সিমন্স, ওয়াহাব রিয়াজ, রায়াদ এমরিট, নুয়ান প্রদীপ, আমির ইয়ামিন, ব্র্যান্ডন কিং, জুনায়েদ সিদ্দিক, ওয়াহেদ আহমেদ, মহেষ তীকসানা ও অ্যান্স ট্যান্ডন।
-ডেকান গ্ল্যাডিয়েটরস-
সুনীল নারাইন, কলিন ইনগ্রাম, কিরন পোলার্ড, ওয়ানিন্দু হাসারাঙা, লাহিরু কুমারা, আজম খান, রবি রামপল, ভানুকা রাজাপাকসে, মোহাম্মদ শাহজাদ, প্রশান্ত গুপ্ত, জাহুর খান, হাফিজ উর রহমান, জিশান জামির, হামদান তাহির, ইমরান তাহির ও ইমতিয়াজ আহমেদ।
স্বপ্নদ্রষ্টা
নবাব শাজি উল মুলক টি-টেনের স্বপ্নদ্রষ্টা। ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশের অভিজাত কুরনুল নবাব পরিবারের সদস্য তিনি। তিনি মুলক হোল্ডিংসের প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান।
আবাসন খাতের পাশাপাশি মুলক হোল্ডিংস স্বাস্থ্য ও ক্রীড়াক্ষেত্রের উন্নয়নে অবদান রেখে চলেছে। ভারত, যুক্তরাস্ট্র, ঘানা, ওমান, সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) পাশাপাশি ইউরোপের বিভিন্ন দেশে প্রতিষ্ঠানটির ব্যবসা বিস্তৃত। বিশ্বব্যাপী তাদের সাত হাজার কর্মী রয়েছে। ♦