ফেব্রুয়ারির শেষ নাগাদ কোভ্যাক্স থেকে কোভিড-১৯ এর ১ কোটি ২৭ লাখ ৯২ হাজার ডোজ টিকা পাবে বাংলাদেশ। আজ মঙ্গলবার (৯ ফেব্রুয়ারি) এ তথ্য জানিয়েছেন স্বাস্থ্যসচিব আবদুল মান্নান।
বিশ্বজুড়ে ন্যায্যতার ভিত্তিতে সুষ্ঠুভাবে টিকা সরবরাহের প্রতিশ্রুতিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও), গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ভ্যাকসিনস অ্যান্ড ইমিউনাইজেশনস (গ্যাভি) ও কোয়ালিশন ফর এপিডেমিক প্রিপেয়ার্ডনেস ইনোভেশনসের (সিইপিআই) নেতৃত্বাধীন জোট কোভ্যাক্স।
দেশজুড়ে প্রায় ৬ লাখ মানুষ কোভিড-১৯ টিকার নিবন্ধন করেছেন বলে জানান স্বাস্থ্যসচিব। বয়স্ক ও এখনও যারা নিবন্ধন করতে পারেননি, বিশেষ ব্যবস্থায় তাদের টিকা দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
গত বুধবার (৩ ফেব্রুয়ারি) কোভ্যাক্স টিকা সরবরাহের প্রথম তালিকা প্রকাশ করেছে। কোভ্যাক্সের কর্মসূচীর আওতায় কয়েক ধাপে টিকা সরবরাহ করা হবে।
নিম্ন ও মধ্যবিত্ত আয়ের দেশগুলোয় কোভিড-১৯ টিকার ন্যায্য সরবরাহ নিশ্চিত করতে ভ্যাকসিন উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে চুক্তি করেছে কোভ্যাক্স।
কোভ্যাক্স চলতি বছরের প্রথমার্ধে অন্তত ৩৩ কোটি ডোজ টিকা বিতরণ করতে চায়। এর মধ্যে ২৪ লাখই অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা।
কোভ্যাক্সের ভাষ্য অনুযায়ী, টিকা বণ্টনের অন্তর্বর্তীকালীন যে তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে, সে টিকা দিয়ে ১৪৫ দেশের মোট জনসংখ্যার গড়ে ৩.৩ শতাংশকে টিকা দেওয়া হবে।
ইউনিসেফের প্রধান হেনরিয়েটা ফোর বলেছেন, নতুন একটি দীর্ঘমেয়াদি চুক্তির আওতায় ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট অ্যাস্ট্রাজেনেকা ও নোভাভ্যাক্সের করোনাভাইরাস টিকার ১১০ কোটি ডোজ কোভ্যাক্সকে দেবে।
নিম্ন ও মধ্যম আয়ের দেশগুলোর জন্য প্রতি ডোজ ৩ ডলার করে কয়েক বছর ধরে এ টিকা দেবে তারা। ♦