গতকাল সন্ধ্যায় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তাদের নিয়োগের কথা জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, ২৫ এপ্রিল করোনাভাইরাস মোকাবেলায় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় বরাবর ২ হাজার চিকিৎসক ও ৬ হাজার নার্স নিয়োগের জন্য চিঠি দেওয়া হয়েছিল।
“তারই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ কর্ম কমিশন কর্তৃক স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের নিকট সুপারিশকৃত নার্সের তালিকা থেকে আজ এই ৫০৫৪ জন নার্সকে সাময়িকভাবে পদায়ন করা হল। আগামী ১২ মে’র মধ্যেই ২ হাজার চিকিৎসক নিয়োগের কাজও সম্পন্ন করা হবে।”
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০১৮ সালের নার্স নিয়োগ পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে ৫ হাজার ৫৪ জন প্রার্থীকে নার্সিং ও মিডওয়াইফারি অধিদপ্তরের অধীনে সিনিয়র স্টাফ নার্স পদে জাতীয় বেতন স্কেল ২০১৫ এর দশম গ্রেডে ১৬ হাজার টাকা-৩৮৬৪০ বেতনক্রমে রাষ্ট্রীয় জরুরি প্রয়োজনে সাময়িকভাবে নিয়োগ দেয়া হল।
নার্সদের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে কিছু শর্ত দিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়। এসব শর্তের মধ্যে রয়েছে:
* প্রার্থীদের বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে। প্রার্থীরা বাংলাদেশের স্থায়ী বাসিন্দা না হলে নিয়োগ বাতিল হবে।
* বাংলাদেশের নাগরিক নন এমন কাউকে বিয়ে করা যাবে না বা তাদের বিয়ে করতেও প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হওয়া যাবে না।
* সাময়িক নিয়োগের পর স্বাস্থ্য পরীক্ষা হবে। তাতে অনুত্তীর্ণ হলে বা সে পরীক্ষায় অনুপস্থিত থাকলেও নিয়োগ বাতিল হবে।
* উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ কর্তৃক দাখিল করা প্রতিবেদন সন্তোষজনক না হলে প্রার্থিতা বাতিল হবে।
* সাময়িক নিয়োগ পাওয়া প্রার্থীদের দুই বছর শিক্ষানবিশ হিসেবে কাজ করতে হবে। সরকার চাইলে শিক্ষানবিশকাল আরও বাড়াতে পারে। শিক্ষানবিশকালে কোনো কারণে চাকরিতে অনুপযোগী বলে বিবেচিত হলে কোনো কারণ দর্শানো নোটিশ ছাড়াই ও পিএসসির পরামর্শ ব্যতিরেকেই তাকে অপসারণ করতে পারবে।
* শিক্ষানবিশকাল সন্তোষজনকভাবে অতিক্রান্ত হলে তাকে চাকরিতে স্থায়ীকরণ করা হবে।
* ১৩ মে তারিখের মধ্যে কাজে যোগ না দিলে ধরে নেওয়া হবে প্রার্থী এ চাকরিতে সম্মত নন। তার সাময়িক নিয়োগও তখন বাতিল হয়ে যাবে।
* প্রার্থীকে একজন জামানতদারসহ ৩০০ টাকা মূল্যের নন জুডিসিয়াল স্ট্যাম্পে বন্ড সম্পাদন করতে হবে এ মর্মে, যদি শিক্ষানবিশকালে বা শিক্ষানবিশকাল উত্তীর্ণ হওয়ার তিন বছরের মধ্যে চাকরিতে ইস্তফা দেন, তাহলে শিক্ষানবিশকালে তিনি যে বেতন-ভাতা উত্তোলন করেছেন তা ও তার প্রশিক্ষণের জন্য ব্যয় হওয়া সমুদয় অর্থ তিনি ফেরৎ দিতে বাধ্য থাকবেন।
* প্রার্থীর ইস্তফা সরকার কর্তৃক গৃহীত হওয়ার আগ পর্যন্ত তিনি কাজে অনুপস্থিত থাকতে পারবেন না। যদি অনুপস্থিত থাকেন তবে তার নিকট সরকারের প্রাপ্য সমুদয় অর্থ পাবলিক ডিমান্ড রিকভারি অ্যাক্ট -১৯৯৩ এর বিধান অনুসারে আদায় করা হবে। সরকারি কর্মচারী বিধিমালা-২০১৮ অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থাও নেওয়া হবে।
* এ চাকরিতে যোগদানের জন্য তিনি কোনো ভ্রমণ ভাতা বা দৈনিক ভাতা পাবেন না। ♦