ওমিক্রনের নতুন উপধরন বিএফ.৭-এর প্রভাবে চীন, ভারতসহ বিভিন্ন দেশে আবার করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে। এ অবস্থায় দেশের সব কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতালসহ অন্যান্য হাসপাতালগুলোকে চিকিৎসা সেবা দিতে প্রস্তুত রাখার জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে পরামর্শ দিয়েছে কোভিড-১৯ জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি।
গত সোমবার কারিগরি পরামর্শক কমিটির পক্ষ থেকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে এসব পরামর্শ পৌঁছে দেয়া হয়েছে।
কারিগরি পরামর্শক কমিটি জানায়, ওমিক্রনের নতুন ধরন অত্যন্ত সংক্রামক।
সম্প্রতি চীন, ভারতসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নতুন ধরনের করোনাভাইরাসের সংক্রমণ দেখা দিয়েছে। জেনেটিক সিকোয়েন্স পরীক্ষার মাধ্যমে জানা গেছে, এসব দেশে ওমিক্রন ধরনের বিএফ.৭ উপধরনের কারণে সংক্রমণ বেড়েছে।
প্রতিবেশী দেশগুলোয় সংক্রমণ বাড়লে বাংলাদেশেও সেই সংক্রমণের আশঙ্কা থাকে।
কমিটির পরামর্শে বলা হয়, গত ২৪ ডিসেম্বর রাতে কোভিড-১৯ জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ সহিদুল্লার সভাপতিত্বে চলমান কোভিড সংক্রমণ নিয়ে সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় নিচের সুপারিশগুলোর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়।
১
কোভিড ১৯-এর বৈশ্বিক পরিস্থিতি সম্পর্কে টেকনিক্যাল কমিটি সব সময় পর্যালোচনা করছে এবং তাদের মতামত ও পরামর্শ সরকারের কাছে তুলে ধরছে।
২
ফ্রন্ট লাইনার, ১৮ বছর ও তদূর্ধ্ব কোমরবিড রোগে (একাধিক রোগে আক্রান্ত) আক্রান্ত এবং ৬০ বছর ঊর্ধ্ব সবাইকে দ্বিতীয় বুস্টার ডোজ/চতুর্থ ডোজের টিকার চলমান ক্যাম্পেইনের আওয়াত আনার ব্যাপারে সব প্রকার জনসংযোগ, প্রচার-প্রচারণা জোরদার করার ব্যবস্থা করতে হবে।
৩
ফাইজার তাদের ৯ মাস মেয়াদি টিকার মেয়াদ ১২ মাস ও ১২ মাস টিকার মেয়াদ ১৫ মাস বৃদ্ধির প্রজ্ঞাপন দিয়েছে, যা দেশে বিদ্যমান সব নিয়ম মেনে দেয়া হচ্ছে বলে কমিটি মনে করে।
৪
আশঙ্কাজনক ব্যক্তি ও কোমরবিড রোগে আক্রান্ত সবাইকে কোভিড ১৯-এর সব স্বাস্থ্যবিধি যেমন মাস্ক পরা, হ্যান্ড স্যানিটাইজ করা ইত্যাদি অবশ্যই মেনে চলতে হবে।
৫
পোর্ট অব এন্ট্রিগুলোয় বিশেষ করে চীন, জাপান, কোরিয়া, ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র থেকে আগত যাত্রীদের মধ্যে আক্রান্ত হওয়ার উপসর্গ থাকলে স্ক্রিনিংয়ের আওতায় আনতে হবে।
৬
দেশের সব কোভিড ডেডিকেটেড হাসপাতাল ও অন্যান্য হাসপাতালগুলোকে কোভিডের চিকিৎসা দেয়ার ব্যাপারে রেডি রাখতে অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে নির্দেশ দেয়া প্রয়োজন। ♦