কৃষকের পাশে ‘স্বপ্ন’

0

উৎপন্ন খরচের অর্ধেক দামেও মিলছে না ক্রেতা। ফলে শীতের প্রাদুর্ভাব ও করোনাকালে বাজার সঙ্কটের কারণে বিপাকে পড়েছেন কৃষকরা। বিশেষ করে উত্তরাঞ্চলের সবজি কৃষকরা।

এ কারণে উত্তরাঞ্চলীয় জেলা ঠাকুরগাঁও, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, রংপুর ও বগুড়ায় জমিতে নষ্ট হচ্ছে টমেটো, বেগুন, ফুলকপি, বাঁধাকপি, ব্রোকোলিসহ অন্য শীতকালীন সবজি।

সবজি চাষ করে লোকসানে পড়া এমন কৃষকদের পাশে দাঁড়িয়েছে সুপারশপ ব্র্যান্ড ‘স্বপ্ন’।

ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল উপজেলার নেকমরদ বটতলীর কৃষক আরিফ আহমেদ। বয়স ৫৫ বছর। তিনি চার বিঘা জমিতে ফুলকপি চাষ করেছেন। প্রতিটি ফুলকপি চাষে খরচ হয়েছে গড়ে সাড়ে ৫ টাকা। কিন্তু বাজারে ক্রেতা নেই। দুই টাকা দরেও কেউ কিনছে না। তাই কষ্টের ফসল নষ্ট হচ্ছে জমিতে। অন্যদিকে চাষের জন্য সুদে নেওয়া টাকার চাপ তো রয়েছেই।

একই অবস্থা লালমনিরহাটেও। এখানে নামমাত্র দামেও ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে না। লালমনিরহাট সদরের মোগলহাটে ফুলকপি চাষ করেছেন মনির হোসেন। তিনি বলেন, ‘আমরা চাষাবাদ করে বিপদে আছি। খরচ উঠছে না। জমিতে রাখলেও প্রতিকূল আবহাওয়ায় নষ্ট হচ্ছে।’

বগুড়ার কাহালু উপজেলার কৃষক শাহ আলম বলেন, ‘ঘন কুয়াশার কারণে পাইকাররা আসছেন না। বাজারে দাম নাই। চাষবাস করে একবারে ধ্বংস হয়ে গেলাম।’

বিপাকে পড়া এমন কৃষকের পাশে দাঁড়িয়েছে ‘স্বপ্ন’। ঠাকুরগাঁও, লালমনিরহাট ও বগুড়ার কৃষকদের কাছ থেকে সরাসরি সবজি কিনছে প্রতিষ্ঠানটি।

দু:সময়ে ‘স্বপ্ন’-কে পাশে পেয়ে খুশি সব কৃষক।

‘স্বপ্ন’কে ধন্যবাদ জানিয়ে রাণীশংকৈলের কৃষক মোখলেছুর রহমান বলেন, ‘তারা (স্বপ্ন) না এলে আমাদের ফসল জমিতে নষ্ট হতো। তারা সরাসরি কেনায় জমিও খালি হচ্ছে। নগদ টাকাও পাচ্ছি। তারা কৃষিপণ্য উৎপাদনকারীদের প্রকৃত বন্ধু।’

‘স্বপ্ন’-র হেড অব পারচেজ সাজ্জাদুল হক ও সিএসআর অ্যান্ড গ্রোয়ার্স ওয়েলফেয়ার অফিসার শরিফুল ইসলামের তত্ত্বাবধানে ১২ স্বপ্নকর্মী নিয়মিত এসব স্থানের সবজি কিনছেন।

এতে করে সংকটাপন্ন কৃষকের জমি থেকে কেনা টাটকা সবজি মিলছে ‘স্বপ্ন’-এর আউটলেটে।

সাজ্জাদুল হক আরো বলেন, ‘এবার শীতের প্রকোপে উত্তরাঞ্চলের কৃষকদের জীবনে দুর্ভোগ নেমে এসেছে। ফসল বিক্রি করতে না পেরে কৃষকরা পরিবার নিয়ে দু:সহ সময় পার করছেন। স্বজনের জন্য শীতবস্ত্র কেনার সামর্থ্যও অনেকের নেই। আমরা নিয়মিত উত্তরাঞ্চল থেকে ফুলকপি ও বাঁধাকপিসহ শীতকালীন সবজি কিনছি।’

Share.