কানাডায় বাংলাদেশি অভিবাসী বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পণ্য ও সেবা খাতে ‘বাংলাদেশি ব্র্যান্ড’কে জনপ্রিয় করে তোলার সুযোগ তৈরি হয়েছে। এজন্য পণ্য ও সেবার গুণগত মানোন্নয়নে নজর দিতে হবে। কানাডার বাজারে টিকে থাকতে হলে গুণে–মানে কানাডার স্ট্যান্ডার্ডে নিজেদের উন্নীত করতে হবে।
‘কানাডায় বাংলাদেশি ব্র্যান্ড, কেন নয়’ শীর্ষক এক ভার্চ্যুয়াল আলোচনায় সংশ্লিষ্ট খাতের প্রতিনিধিরা এ মতামত দিয়েছেন।
কানাডার বাংলা পত্রিকা ‘নতুনদেশ’–এর প্রধান সম্পাদক শওগাত আলী সাগরের সঞ্চালনায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারিত ‘শওগাত আলী লাইভ’–এ আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। স্থানীয় সময় গতকাল বুধবার রাতে অনুষ্ঠিত এ আলোচনায় অংশ নেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্যবসায়ী ফায়েজ নুর ময়না, প্রকৌশলী রাশিদুল হাসান ও আইনজীবী ওমর হাসান আল জাহিদ।
ফায়েজ নুর ময়না বলেন, কানাডায় ব্যবসায়ী ও পেশাজীবীদের সেবার মান নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে অস্বস্তি ও অসন্তোষ রয়েছে। এ অস্বস্তি ও অসন্তোষ দূর করা না গেলে বাংলাদেশি পণ্য বা সেবা ব্র্যান্ড হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা কঠিন হবে। কানাডায় বাংলাদেশি কমিউনিটি বড় হচ্ছে। তারা নানা জায়গায় ছড়িয়ে–ছিটিয়ে পড়ছেন। ফলে বিভিন্ন জায়গায় বাংলাদেশি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান গড়ে উঠছে। তিনি কানাডীয় নিয়মকানুন সম্পর্কে পড়াশোনার পরামর্শ দিয়ে বলেন, সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনা না থাকলে ব্যবসা টিকিয়ে রাখা যাবে না।
রাশিদুল হাসান পেশাদারীত্ব ও গ্রাহকসেবার মানোন্নয়নের তাগিদ দিয়ে বলেন, বাংলাদেশিসহ এথনিক গ্রোসারিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দোকানগুলোকে এখন ওয়ালমার্ট, নোফ্রিল, মেট্টোর মতো সুপারস্টোরগুলোর সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নামতে হচ্ছে। পণ্য ও গ্রাহকসেবার মানোন্নয়ন না করা গেলে এ প্রতিযোগিতায় তারা টিকে থাকতে পারবে না।
আইনজীবী ওমর হাসান আল জাহিদ বলেন, বাংলাদেশি কমিউনিটিকে কেবল চাকরির পেছনে না ছুটে ব্যবসার দিকে মনোযোগী হওয়া উচিত। যে ব্যবসাগুলো একসময় গ্রিক, ইতালিয়ানদের দখলে ছিল, সেগুলো এখন ভারতীয় ও শ্রীলঙ্কানদের আধিপত্য। বাংলাদেশিরা সেভাবে ব্যবসায় এগিয়ে আসেনি। ভোক্তাদেরও পেশাদারীত্ব গ্রহণের মানসিকতা অর্জন করতে হবে। অন্য কমিউনিটিতে কিংবা সাদাদের কাছে গিয়ে তারা যে ব্যবহার করে, নিজ কমিউনিটিতে এসে তারা সেটি আর অনুসরণ করতে চায় না।
শওগাত আলী সাগর বলেন, কানাডায় প্রতিটি কমিউনিটির কোনো না কোনো পণ্য বা সেবা ব্র্যান্ড হিসেবে নানা কমিউনিটিতে জনপ্রিয় হয়েছে। বাংলাদেশি কোনো পণ্য বা সেবা ব্র্যান্ড হয়ে উঠতে পারেনি। বাংলাদেশি ব্যবসায়ী ও পেশাজীবীদের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করতে কানাডায় ‘বাংলাদেশি ব্র্যান্ড’–এর পক্ষে নিয়মিত প্রচারণা চালাবেন বলে উল্লেখ করেন। ♦