আইটি ডেস্ক: কার্যক্রম কমে আসায় কর্মীদের ৩০ হতে ৪১ শতাংশ পর্যন্ত বেতন কেটে দিয়েছে পাঠাও।
একই সঙ্গে কর্মীরা দুই ঈদের কোনো বোনাসও পাবেন না। পাঠাও বলছে, করোনা দুর্যোগে যেনো সবাই টিকে থাকতে পারে তাই এভাবে বেতন কাটা হয়েছে। কোনো কর্মী চাকরিচ্যুত হচ্ছেন না এতে।
পাঠাওয়ে বর্তমানে ৩০০ জনের মতো কর্মী রয়েছেন।
এপ্রিল হতে আগামী ছয় মাস পর্যন্ত এই বেতন কাটা পড়বে বলে কর্মীদের ইমেইল করে জানিয়েছেন স্টার্টআপটির সিইও হুসেইন এম ইলিয়াস।
রোববার সন্ধ্যায় এই ইমেইল দিয়েছেন তিনি।
বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাস মহামারিতে সব ধরনের প্রতিষ্ঠানই ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। পাঠাও বেশকিছু সেবা বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছে। স্টার্টআপ হিসেবে পাঠাও অন্যান্যদের মতোই ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে।
কর্মীদের কাছে পাঠানো ইমেইলে বর্তমান পরিস্থিতিতে স্টার্টআপ হিসেবে দেশে নিজেদের ব্যবসার বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন পাঠাও সিইও।
ইমেইলে জানানো হয়েছে, ১ এপ্রিল থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২০ পর্যন্ত বেতনের ক্ষেত্রে এই কমানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। যেখানে ৩০ হাজার পর্যন্ত বেতনের কোন অংশ কাটা হচ্ছে না। এছাড়া ৩০ থেকে ৮০ হাজার কাঠামোর ৩০ শতাংশ, ৮০ থেকে ১ লাখ ২০ হাজার কাঠামোর ৪০ শতাংশ, এক লাখ ২০ থেকে এক লাখ ৬০ হাজার কাঠামোর ৫০ শতাংশ, এক লাখ ৬০ থেকে দুই লাখ কাঠামোর ৬০ শতাংশ এবং দুই লাখের বেশি বেতন কাঠামোর কর্মীদের ৭০ শতাংশ বেতন কমানো হয়েছে।
পাঠাও তাদের ব্যাখ্যায় জানিয়েছে, এই বেতন কাটা হবে স্ল্যাব বা কাঠামো ভিত্তিক।
অর্থাৎ কারো বেতন যদি দুই লাখ ১০ হাজার টাকা হয় তাহলে প্রথম ৩০ হাজারের কোনো টাকা কাটা হবে না। এরপর ৮০ হাজার পর্যন্ত ৩০ শতাংশ বা ১৫ হাজার, ৮০ থেকে ১ লাখ ২০ পর্যন্ত ৪০ শতাংশ হিসাবে ১৬ হাজার, ১ লাখ ২০ হাজার থেকে ১ লাখ ৬০ হাজার পর্যন্ত ৫০ শতাংশ বা ২০ হাজার, ১ লাখ ৬০ থেকে দুই লাখ পর্যন্ত ৬০ শতাংশ বা ২৪ হাজার এবং দুই লাখের উপর হলে ৭০ শতাংশ বা ৭ হাজার টাকা কাটা হবে। এক্ষেত্রে তার রিভাইজড স্যালারি হবে এক লাখ ২৮ হাজার টাকা।
তবে ক্রান্তিকাল মোকাবিলায় প্রতিষ্ঠানটির সিইও, সিটিও এবং সিএফও এই সময়ের মধ্যে কোনো ধরনের বেতন নেবেন না বলেও মেইলে উল্লেখ করা হয়েছে।
পাঠাও মার্কেটিং লিড সৈয়দা নাবিলা মাহবুবের আশাবাদ যে কঠিন পরিস্থিতি মোকাবিলায় এখন সবাই একত্রে কাজ করে পরিস্থিতির উত্তর ঘটানো যাবে।
পাঠাও কুরিয়ার দিয়ে তাদের পথচলা শুরু করে পরে পাঠাও রাইড শেয়ারিং, পাঠাও ফুড সার্ভিস শুরু করে। করোনা মহামারিতে পাঠাও গ্রোসারি, ওষুধসহ নিত্যপণ্য পৌঁছে দিতে কাজ করছে।
এর আগে চলতি মাসেই ১০৮ জন কর্মীকে ছাঁটাই করে মোবাইল ব্যাংকিং সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান শিওর ক্যাশ। যদি প্রতিষ্ঠানটি এই ছাঁটাইয়ের কারণে হিসেবে করোনা নয় তাদের সোবর মান বাড়াতে অবকাঠামোগত পরিবর্তনের কথা বলছেন।