বিনোদন ডেস্ক: করোনাভাইরাস সঙ্কটের মধ্যে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মার্চ মাসের বেতন এখনও পরিশোধ করতে পারেনি বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন (এফডিসি)।
এজন্য বেতনসহ অন্যান্য ব্যয় মেটাতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের কাছে ২১ কোটি টাকা অনুদান চেয়েছে লোকসানের মুখে থাকা সংস্থাটি।
এফডিসির নিজস্ব তহবিলে কোনো অর্থ না থাকায় ২৬১ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মার্চ ও প্রায় শেষ হতে চলা এপ্রিলের বেতন পরিশোধ করতে অনুদানের উপরই পুরোপুরি নির্ভর করতে হচ্ছে।
এফডিসির নিজস্ব আয় ও অল্প কিছু অনুদানের অর্থে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত কর্মীদের বেতন পরিশোধ করা হলেও এখন তাদের আর আর্থিক সামর্থ্য নেই বলে জানান এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক।
বেতন না পাওয়ায় নিরাপত্তাকর্মী, ক্লিনারসহ এফডিসির তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীরা আর্থিক সঙ্কটে দিন কাটাচ্ছেন বলে জানান বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কলাকুশলী ও কর্মচারী লীগ (সিবিএ)-এর সাধারণ সম্পাদক আহসান।
আগামী দশ দিনের মধ্যেও বেতন পাওয়ার কোনো সম্ভবনা দেখছেন বলে জানান তিনি; এর মধ্যে এপ্রিলও প্রায় শেষের পথে।
কবে নাগাদ বেতনাদি হতে পারে- এফডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালকও নির্দিষ্ট করে কিছু জানাতে পারেননি; অনুদানের অপেক্ষায় থাকার কথা জানালেন তিনি।
“প্রতি বছরই এফডিসির আর্থিক ঘাটতি পড়ে। ঘাটতি মেটাতে অর্থ মন্ত্রণালয়ে ২১ কোটি টাকার অনুদানের আবেদনের প্রেক্ষিতে ২৩ মার্চ মন্ত্রণালয় থেকে কিছু তথ্য-উপাত্ত চাওয়া হয়েছিল। তবে অফিস বন্ধ থাকায় তা দেওয়া সম্ভব হয়নি; বৃহস্পতিবার তা পাঠিয়ে দিচ্ছি।”
আবেদনটি পাওয়ার পর পর্যালোচনা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল একজন কর্মকর্তা।
তিনি বলেন, “এর আগেও এফডিসিতে তিনবার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। এবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে তাদের কাছে কিছু তথ্য চাওয়া হয়েছে। সেগুলো পাঠানোর পর দেখব, কী করা যায়।”
কবে নাগাদ অনুদান পাওয়া যেতে পারে- তা নির্দিষ্ট করে জানাতে পারেননি নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এ কর্মকর্তা।
এফডিসিতে ‘ইকুইটি’ হিসেবে এ অর্থ দেওয়া হয় বলে জানান তিনি।
“ইকুইটি মানে অনুদান হিসেবেই এ অর্থ দেওয়া হয়। আমরা যেহেতু অটোনমাস বডিকে অনুদান দিতে পারি না। সেকারণে ইকুইটি হিসেবে দেওয়া হয়। যার ফলে এফডিসিতে সরকারের শেয়ার বাড়ল।”
ক্রমাগত ধুঁকতে থাকা এফডিসির নিজস্ব আয় তলানীতে নেমে আসায় নতুন লোকবল না নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছে সংশ্লিষ্টরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মী বলেন, এফডিসি সারক্ষণ যখন কর্মমুখর ছিল তখনকার চেয়ে এখন জনবল বেশি।
“নতুন কোনো লোকবল না নেওয়ার জন্য নিয়মিতভাবে বলে আসছি। কারণ কাজ কমে গেছে। আয়ও তো তেমন নাই।”