সরকার নভেম্বরের পর আর কোনো ব্যক্তিকে করোনার প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজের টিকা দেবে না। এরপর থেকে বুস্টার বা তৃতীয় ডোজের জন্য উপযুক্ত ব্যক্তিরা টিকা পাবেন।
এর বাইরে টিকা পাবে ৫ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুরা। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, স্বাস্থ্য বিভাগের কাছে এখনো প্রায় দেড় কোটি টিকা মজুত রয়েছে।
বিভিন্ন উৎস থেকে সংগ্রহ করা টিকার ব্যবহারের মেয়াদ নভেম্বরে শেষ হবে। কোনো টিকা ২১, কোনো টিকা ২৩ ও কোনো টিকা ৩০ নভেম্বরের পর আর ব্যবহার করা যাবে না।
স্বাস্থ্য বিভাগ ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে দেশের মানুষকে করোনার টিকা দেয়া শুরু করে। সরকারি ছুটির দিন ছাড়া নির্ধারিত টিকাকেন্দ্রে প্রতিদিন টিকা দেয়া হচ্ছে। তারপরও ১২ বছরের বেশি বয়সী ৩৩ লাখ মানুষ এখনো প্রথম ডোজ টিকা নেননি। এ ছাড়া প্রথম ডোজ পাওয়া ৯৪ লাখ মানুষ দ্বিতীয় ডোজ টিকা নেননি।
গণমাধ্যমে পাঠানো অধিদপ্তরের টিকাসংক্রান্ত দৈনিক তথ্যে দেখা যায়, ২৪ জুলাই সারা দেশে প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছেন ৬ হাজার ৭২৬ জন। এ সময় দ্বিতীয় ডোজ নেন ২৭ হাজার ২৯৬ জন।
গতকাল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের টিকা প্রয়োগ কমিটির সদস্যসচিব শামসুল হক বলেন, এখনো যাঁরা প্রথম ডোজ টিকা নেননি, তাঁদের অনতিবিলম্বে তা নিতে হবে। তা না হলে নভেম্বরের আগে তাঁরা দ্বিতীয় ডোজ নেয়ার সময় পাবেন না।
তবে বুস্টার ডোজ নভেম্বরের পরও দেয়া হবে বলে তিনি জানান।
সরকার ইতিমধ্যে ৫ থেকে ১১ বছর বয়সীদের টিকা দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সহায়তায় সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে শিশুদের তালিকা তৈরির কাজ চলছে। দেশে এই বয়সী শিশুদের সংখ্যা আছে ৪ কোটি ৪০ লাখ।
তাদের দেয়ার জন্য ৪ কোটি ১০ লাখ টিকার নিশ্চয়তা স্বাস্থ্য বিভাগ পেয়েছে। শিশুদের দুই ডোজ করে টিকা দেয়া হবে। এর জন্য টিকার প্রয়োজন হবে ৮ কোটি ৮০ লাখ ডোজ।
মূলত চারটি উৎস থেকে এ পর্যন্ত ৩০ কোটির কিছু বেশি টিকা দেশে এসেছে। এর মধ্যে বড় অংশটি কেনা। কিছু টিকা উপহার হিসেবে পাওয়া। একটি অংশ অনুদান হিসেবে কোভ্যাক্স থেকে পাওয়া। বাকি আরেকটি অংশ কোভ্যাক্সের মধ্যস্থতায় ভর্তুকি মূল্যে কেনা। ♦