করোনায় বিশ্বজুড়ে ‘ব্যাপক ঝুঁকিতে’ মানসিক স্বাস্থ্য

0

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের কারণে বিশ্বজুড়ে জনসাধারণের মধ্যে মানসিক চাপের ‘ব্যাপক বিস্তার’ ঘটতে পারে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতিসংঘ ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। বিশেষ করে স্বাস্থ্যকর্মী ও শিশুরা এ সমস্যায় বেশি ভুগবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

বিষয়টি এরই মধ্যে উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে গতকাল এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ডব্লিউএইচওর প্রধান তেদ্রোস আধানম গেব্রিয়াসাস, “মানুষের মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর মহামারির প্রভাব ইতিমধ্যে খুবই উদ্বেগজনক হয়ে দাঁড়িয়েছে।”

চলমান করোনাভাইরাস সংকটে কানাডায় ৪৭ শতাংশ স্বাস্থ্যকর্মীর মানসিক সহায়তা লেগেছে। চীনে স্বাস্থ্যকর্মীদের মধ্যে বিষণ্নতায় ভোগার সংখ্যাটা ৫০ শতাংশ; আর পাকিস্তানে স্বাস্থ্যকর্মীদের হালকা মানসিক চাপ আছে ৪২ শতাংশ স্বাস্থ্যকর্মীর, তীব্র মানসিক সংকটে আছেন ২৬ শতাংশ!

জাতিসংঘের ওই তথ্য-উপাত্তে আরও বলা হয়েছে, ইতালি ও স্পেনের বাবা-মায়েরা জানিয়েছেন, চলমান সংকটে ৭৭ শতাংশ শিশুদের ক্ষেত্রে মনোযোগহীনতা দেখা গেছে। ৩৯ শতাংশ বাচ্চাদের ক্ষেত্রে দেখা গেছে অস্থিরতা ও খিটখিটে মেজাজ। স্নায়বিক দুর্বলতা দেখা গেছে ৩৮ শতাংশ শিশুদের ক্ষেত্রে ও একাকিত্বে ভুগেছে ৩১ শতাংশ শিশু।

যুক্তরাজ্যে আরেকটি জরিপে দেখা গেছে, করোনাভাইরাস সংকট তরুণদের মানসিক স্বাস্থ্যেও প্রভাব ফেলেছে। দেশটির ৩২ শতাংশ তরুণ-তরুণীর মানসিক স্বাস্থ্যের অনেক অবনতি ঘটেছে বলে জানা গেছে।

যুক্তরাষ্ট্রে পরিচালিত মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে সার্বিক জাতীয় জরিপে দেখা গেছে, এ সংকটে দেশটির প্রায় অর্ধেক ৪৫ শতাংশ জনগণ কোনো না কোনোভাবে মানসিক পীড়নে ভুগেছেন।

বিশ্বজুড়ে মানসিক স্বাস্থ্যের কারণ প্রসঙ্গে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান তেদ্রোসের মতে, সামাজিক দূরত্ব, আক্রান্ত হওয়ার ভয়, পরিবারের সদস্য হারানোর বিষয়গুলোর সঙ্গে আয় কমে যাওয়া ও বেকারত্বের মতো ভোগান্তির সঙ্গে মিলে এমনটা হয়েছে।

Share.