নেচার কমিউনিকেশনস জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণায় বলা হয়েছে, বিজ্ঞানীদের আবিষ্কৃত পরীক্ষামূলক এ অ্যান্টিবডি কোভিড-১৯ সম্পর্কিত রোগের চিকিৎসা ও ভাইরাসটির সংক্রমণ প্রতিরোধ করতে সক্ষম হবে।
ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে এটা সত্যিই কাজ করছে কিনা তা নিশ্চিত হওয়া প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন, অ্যান্টিবডির আবিষ্কারক দল। দলটিতে রয়েছেন নেদারল্যান্ডসের উথরেট বিশ্ববিদ্যালয়ের বেরেন্ড-জান বোশ ও তার সহকর্মীরা।
47D11 নামে পরিচিত এ অ্যান্টিবডি করোনাভাইরাসের স্পাইক প্রোটিনকে লক্ষ করে আক্রমণ করে। স্পাইকগুলোকে একটি মুকুট দিয়ে মুড়ে একে নিষক্রিয় করে। ফলে ভাইরাসটি নতুন কোষে প্রবেশ করার ক্ষমতা হারায়।
পরীক্ষায় দেখা গেছে, এটি কোভিড-১৯ এর জন্য দায়ী ভাইরাসকে কেবল পরাস্তই করেনি বরং একই ধরণের স্পাইক প্রোটিন দিয়ে সজ্জিত করোনার কাজিন সার্স ভাইরাসকেও পরাস্ত করেছে।
বিশ্বজুড়ে প্রলয় সৃষ্টি করেছে আণুবীক্ষণিক জীব নভেল করোনা ভাইরাস। গুঁড়িয়ে দিচ্ছে মানবজাতির সভ্যতা ও বিজ্ঞানের দম্ভ। কোন ওষুধ নেই, প্রতিষেধক নেইও। শুধুই মৃত্যুর অপেক্ষা। বিভিন্ন দেশের বিজ্ঞানীরা উঠেপড়ে লেগেছেন একটা ওষুধ বা ভ্যাকসিন তৈরিতে। কিন্তু এখনও সাফল্যের মুখ দেখেননি কেউ। এরই মধ্যে এ আবিষ্কার আশার আলো দেখাচ্ছে। ♦