মরিস গ্যারেজ বাংলাদেশের (এমজি বাংলাদেশ) সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে দেশের শীর্ষস্থানীয় অনলাইন মার্কেটপ্লেস দারাজ বাংলাদেশ (www.daraz.com.bd)। এ নিয়ে সম্প্রতি দুই পক্ষের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষর হয়েছে।
এ অংশীদারিত্বে এমজি বাংলাদেশ দারাজে ইলেক্ট্রিক কারসহ নানা ধরণের গাড়ি বিক্রি করবে।
এমজি বাংলাদেশ – রাংকন কার হাবের চিফ অপারেটিং অফিসার হুসাইন মাশনুর চৌধুরী ও দারাজ বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মোস্তাহিদল হক নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে এ এমওইউতে স্বাক্ষর করেন।
মরিস গ্যারেজ (এমজি) একটি ব্রিটিশ মোটরগাড়ির ব্র্যান্ড। এটি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯২৪ সালে। প্রতিষ্ঠানটি এর স্পোর্টিং, অসাধারণ নকশা ও দাম অনুযায়ী যথাযথ মানসম্মত গাড়ি তৈরির জন্য বিখ্যাত। এমজি বাংলাদেশ ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে রাংকন ব্রিটিশ মোটরস লিমিটেডের মাধ্যমে বাংলাদেশে বাণিজ্যিক যাত্রা শুরু করে।
এমজি বাংলাদেশই প্রথম বাংলাদেশে ইলেকট্রিক গাড়ি নিয়ে আসে, যা তারা এখন দারাজের মাধ্যমেও ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করবে।
এছাড়া এমজি বাংলাদেশ এমজি৩, এমজি জেড এস ও এমজি জেড এস ইভিসহ অন্য মডেলের গাড়িগুলোও দারাজে বিক্রি করবে। দারাজ থেকে যেকোনো এমজি গাড়ি কিনে ক্রেতারা অতিরিক্ত ৩ বছরের সার্ভিসিং সুবিধা পাবেন।
তাই বলা যায়, এই কৌশলগত অংশীদারিত্বের মাধ্যমে এমজি বাংলাদেশ আরও বেশি গ্রাহকের কাছে পৌঁছাতে পারবে।
দারাজ বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ মোস্তাহিদল হক বলেন, ‘এমজি বাংলাদেশের সাথে অংশীদারিত্ব করতে পেরে আমরা অত্যন্ত আনন্দিত। এই অংশীদারিত্বের মাধ্যমে আমরা আরও বেশি ক্রেতাদের নিকট অসাধারণ কালেকশনের গাড়ি নিয়ে আসতে পারবো। আমরা সবসময়ই চেয়েছি দারাজকে একটি ওয়ান-স্টপ-মার্কেটপ্লেস হিসেবে গড়ে তুলতে, যেখানে গাহকরা তাদের চাহিদা অনুযায়ী বিভিন্ন ধরণের পণ্য সহজেই এক জায়গা থেকে নিতে পারবেন। এমজি বাংলাদেশের সাথে অংশীদারিত্ব আমাদের এ লক্ষ্যকে আরও শক্তিশালী করবে এবং আমাদের ক্রেতাদের গাড়ি কেনার অনন্য অভিজ্ঞতা প্রদানে আমাদের সহায়তা করবে।’
দারাজ
দক্ষিণ এশিয়ার শীর্ষস্থানীয় অনলাইন মার্কেটপ্লেস দারাজ। প্রতিষ্ঠানটি অসংখ্য বিক্রেতাকে লাখো ক্রেতার সঙ্গে যুক্ত করেছে।
একশোর বেশি ক্যাটাগরির প্রায় ১ কোটি পণ্য কেনাকাটায় গ্রাহকদের তাৎক্ষনিক ও সহজ সুবিধাদানের পাশাপাশি প্রতি মাসে ২০ লাখের বেশি পণ্য বিশ্বের সব প্রান্তে পৌঁছে দিচ্ছে দারাজ।
দারাজ তার গ্রাহকদের জন্য একই সঙ্গে একটি বাজার, মার্কেটপ্লেস ও কমিউনিটি। দারাজ উদ্যোক্তাদের জন্য উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মতো, কেননা প্রতিষ্ঠানটি প্রতিমাসে ই-কমার্স সম্পর্কে পাঁচ হাজারের বেশি নতুন বিক্রেতাকে সচেতন করে তোলে।
দারাজ নানা লজিস্টিক চ্যালেঞ্জ কাটিয়ে উঠার লক্ষ্যে, বিশেষত তাদের ই-কমার্স অপারেশনগুলো মাথায় রেখে ‘দারাজ এক্সপ্রেস’ (ডেক্স নামে পরিচিত) নামক নিজেদের লজিস্টিক কোম্পানি গঠন করেছে। দারাজ বিদ্যমান ও নতুন লজিস্টিক সরবরাহকারীদের ডিজিটালকরণে সহায়তা করছে।
২০১৮ সালে আলীবাবা গ্রুপ দারাজকে অধিগ্রহণ করে এবং ‘ডিজিটাল অর্থনীতির যুগে যে কোন স্থানে ব্যবসা সহজীকরণ’- এ লক্ষ্যের অংশ হিসেবে দারাজ কাজ করে চলেছে। আলীবাবার অংশ হিসেবে দারাজ বাজারে তার প্রতিষ্ঠানগত উন্নয়নে আলীবাবার নেতৃত্ব ও প্রযুক্তি, অনলাইন বাণিজ্য, মোবাইল পেমেন্ট এবং লজিস্টিকের অভিজ্ঞতা ব্যবহার করছে। ♦