এফবিআইয়ের মোস্ট ওয়ান্টেড তালিকার শীর্ষ দশে যোগ হয়েছেন এক কথিত ‘ক্রিপ্টোরানী’। ২০১৭ সালে নিখোঁজ হওয়ার পর ওই নারী নিজের চেহারাও পাল্টে ফেলেছেন বলে ধারণা করছে যুক্তরাষ্ট্রের তদন্ত সংস্থা।
রুয়া ইগনাতোভার বিরুদ্ধে প্রতারণার মাধ্যমে চারশ কোটি ডলার হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ রয়েছে।
বর্তমান তালিকার শীর্ষ দশে একমাত্র নারী অপরাধী তিনি।
‘ওয়ানকয়েন’ নামে একটি ভুয়া ক্রিপ্টো মুদ্রা নিয়ে প্রতারণার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে এফবিআইয়ের মোস্ট ওয়ান্টেড তালিকায় রয়েছে ইগনাতোভার নাম।
২০১৭ সালে যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারা বুলগেরিয়ান এই নারীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারী পরোয়ানা জারি করার পর নিখোঁজ হন তিনি।
ওয়ানকয়েন জনসমক্ষে আসে ২০১৪ সালে। আরও বেশি মানুষের কাছে ক্রিপ্টো মুদ্রাটি বিক্রি করলে সেখান থেকে কমিশন পেতেন এর প্রাথমিক ক্রেতারা।
এফবিআই বলছে, ওয়ানকয়েনের কখনও কোনো আর্থিক মূল্য ছিল না এবং অন্যান্য ক্রিপ্টো মুদ্রার মতো কোনো ব্লকচেইনের অংশও ছিল না এটি।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীদের অভিযোগ, কার্যত ক্রিপ্টো মুদ্রার ছদ্মবেশে ‘পনজি স্কিম’ ছিল এটি।
প্রতারণায় ইগনাতোভার ভূমিকা নিয়ে ম্যানহাটনের শীর্ষ ফৌজদারি আইনজীবী ডামিয়ান উইলিয়ামস বলেছেন, প্রতারণার জন্য একদম সঠিক সময়টি বেছে নিয়েছিলেন তিনি। ক্রিপ্টো মুদ্রার শুরুর দিনগুলোর অস্থিরতাকে মূলধন হিসেবে ব্যবহার করেছেন তিনি।
পালিয়ে থাকা আসামীকে ধরতে জনসাধারণ সহযোগিতা করতে পারবে বলে মনে করলে এফবিআই তাদের নাম ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ তালিকায় যোগ করে।
কোনো তথ্য দিয়ে ইগনাতোভার গ্রেপ্তারে ভূমিকা রাখলে এফবিআই তার জন্য এক লাখ ডলারের পুরস্কার ঘোষণা করেছে।
২০১৯ সালেই ইগনাতোভার বিরুদ্ধে আর্থিক প্রতারণা ও জালিয়াতির আটটি অভিযোগ উঠে মার্কিন আদালতে।
এফবিআইয়ের পুরস্কার ঘোষণা ইগনাতোভার গ্রেপ্তার হওয়ার সম্ভাবনা বাড়িয়ে দিচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিবিসির জেমি বারলেট।ইগনাতোভার ওয়ানকয়েন প্রতারণা নিয়ে প্রতিবেদনে করে ক্রিপ্টো প্রতারণা ও জালিয়াতির বিষয়টি আন্তর্জাতিক অঙ্গনের নজরে এনেছিলেন ওই সংবাদকর্মী।
বারলেটের মতে, অন্তত ৫০ কোটি ডলার নিয়ে পালানোর কারণে ইগনাতোভার খোঁজ পাওয়া কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে, সহজে নিজের পরিচয় লুকিয়ে আত্মগোপনে থাকতে পারছেন ওই নারী।
ইগনাতোভাকে শেষ দেখা যায় ২০১৭ সালের অক্টোবরে, বুলগেরিয়া থেকে গ্রীসগামী ফ্লাইটে ওঠার সময়। তারপর থেকে নিখোঁজ তিনি। ♦