এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংক লিমিটেডের (এনআরবিসি) প্রাথমিক গণপ্রস্তাবের (আইপিও) আবেদনের সময়সূচি নির্ধারণ করা হয়েছে। ব্যাংক খাতের এ কোম্পানিটির আইপিও আবেদন শুরু হবে ৩ ফেব্রুয়ারি। চলবে ৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
কোম্পানি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। এর মধ্য দিয়ে দেশের পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংকের সংখ্যা দাঁড়াবে ৩১টিতে।
জানা গেছে, ব্যাংকটি আইপিও আবেদনের সময় নির্ধারণ করে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) কাছে আবেদন করবে। বিএসইসির অনুমোদন সাপেক্ষে তারিখ চূড়ান্ত হবে।
গত ১৮ নভেম্বর ব্যাংকটিকে আইপিও অনুমোদন দিয়েছে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।
এনআরবিসি ১২ কোটি সাধারণ শেয়ার ইস্যু করে পুঁজিবাজার থেকে ১২০ কোটি টাকা উত্তোলন করবে। ১০ টাকা অভিহিত মূল্যে ১২ কোটি সাধারণ শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে এ টাকা উত্তোলন করবে।
এ অর্থ সরকারি সিকিউরিটিজ ক্রয়, সেকেন্ডারি মার্কেটে বিনিয়োগ ও আইপিও খরচ বাবদ ব্যয় করা হবে।
২০২০ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত অর্থবছরের নিরীক্ষিত আর্থিক বিবরণী অনুযায়ী পুন:মূল্যায়ন ছাড়া ব্যাংকটির নেট অ্যাসেট ভ্যালু হয়েছে ১৩ টাকা ৮৬ পয়সা। শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ৫৫ পয়সা।
আইপিওতে কোম্পানিটির ইস্যু ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছে এশিয়ান টাইগার ক্যাপিটাল পার্টনার্স ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড ও এএফসি ক্যাপিটাল লিমিটেড।
এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংক লিমিটেড (এনআরবিসি)
২০১৩ সালের ২ এপ্রিল যাত্রা করে এনআরবিসি। প্রতিষ্ঠার শুরু থেকে গ্রাহকবান্ধব হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে ব্যাংকটি।
এনআরবিসির চেয়ারম্যান পারভেজ তমাল।
এনআরবিসি সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেবার পরিধি বিস্তৃত করছে। আরও বেশি সংখ্যক মানুষকে সেবা দেওয়ার লক্ষে ব্যাংকটি দেশের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প, প্রত্যন্ত অঞ্চলের অঞ্চলের কটেজসহ ক্ষুদ্র, অতিক্ষুদ্র ও কৃষি খাতকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে।
প্রযুক্তিনির্ভর ব্যাংকটি নিত্য নতুন প্রোডাক্ট ও সেবা চালু করে চলেছে।
পুঁজিবাজারে আসার মধ্য দিয়ে এনআরবিসির সুশাসন আরও বাড়বে। অসংখ্য বিনিয়োগকারী লাভবান হবেন। এমন মনে করেন চেয়ারম্যান পারভেজ তমাল। প্রসঙ্গত করোনাকালেও ব্যাংকটি ভালো ব্যবসা করেছে। চলতি বছর শেষে ১২ থেকে ১৪ শতাংশ পর্যন্ত লভ্যাংশ দেওয়া সম্ভব হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। ♦