কোভিড-১৯ সংক্রমণ পরিস্থিতির কারণে দ্বিতীয় ধাপে এক মাস বন্ধের পর আবার খুলল দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো। প্রথম দফায় আজ মঙ্গলবার খুলল মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো।
২ মার্চ খুলবে প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো।
মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোয় যেসব শিক্ষার্থী করোনার দ্বিতীয় ডোজ নিয়েছে, তারাই শ্রেণিকক্ষে যেতে পারবে। কিন্তু এখনো ১২ বছরের বেশি বয়সী অর্ধেকের বেশি শিক্ষার্থী দ্বিতীয় ডোজ টিকা নিতে পারেনি।
আর ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ুয়া অনেক শিক্ষার্থীর বয়স এখনো ১২ বছরের কিছু কম। এর মধ্যে ষষ্ঠ শ্রেণির যেসব শিক্ষার্থীর বয়স এখনো ১২ বছরের কম, তাদের বিষয়ে স্পষ্ট নির্দেশনা নেই শিক্ষা প্রশাসনের।
টিকা দিতে না পারা শিক্ষার্থীদের ক্লাস নিয়ে কিছুটা অসুবিধা হবে। কারণ প্রথমত অনলাইন ক্লাসের সুবিধা অনেক শিক্ষার্থীর নেই। আবার সশরীর ক্লাস ও অনলাইনে ক্লাস, এ দুই কার্যক্রম একসঙ্গে চালিয়ে নেয়ার মতো সামর্থ্যও অনেক বিদ্যালয়ের নেই।
বিষয়টি নিয়ে অভিভাবকরাও চিন্তিত।
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) জানায়, ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ুয়া যেসব শিক্ষার্থীর বয়স এখনো ১২ বছর হয়নি, তারা আপাতত অনলাইনে ক্লাস করবে। এ বয়সী শিক্ষার্থীর সংখ্যা হতে পারে দুই থেকে তিন লাখের মতো। দু-এক মাসের মধ্যে তাদের বয়স ১২ বছর পূর্ণ হয়ে গেলে টিকা দেয়া হবে।
এ ছাড়া যারা করোনার দ্বিতীয় ডোজ নিতে পারেনি, তারা আপাতত অনলাইনে ক্লাস করবে। শিক্ষার্থীদের টিকার দ্বিতীয় ডোজ দেয়া এ মাসে শেষ হতে পারে।
দেশে ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত (১২ বছরের বেশি বয়সী) মোট শিক্ষার্থী প্রায় ১ কোটি ২৮ লাখ। মাউশির এডুকেশন ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমের (ইএমআইএস) এক কর্মকর্তা জানান, প্রথম ডোজ টিকা নেয়া হয়ে গেছে প্রায় সবার। আর দ্বিতীয় ডোজ টিকা নিয়েছে ৫০ লাখের মতো শিক্ষার্থী। ♦