বাংলাদেশে এক মাসে নতুন ৩৬ লাখ ৪০ হাজার ইন্টারনেট গ্রাহক যুক্ত হয়েছেন। তাদের নিয়ে দেশে মোট ইন্টারনেট গ্রাহকের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২ কোটি ৯ লাখ ৫০ হাজারে।
সর্বশেষ ৯০ দিনে কোনো সিমে একবারও যদি ইন্টারনেট ব্যবহার করা হয় তাহলে সেটাকে ইন্টারনেট গ্রাহক ধরা হয়। মোবাইল গ্রাহকের ক্ষেত্রেও ৯০ দিনে সক্রিয় সিমকে গ্রাহক হিসেবে ধরে কমিশন।
নতুন যুক্ত হওয়া গ্রাহকের মধ্যে ২৫ লাখই মোবাইল ইন্টারনেট গ্রাহক। তাদের নিয়ে মোবাইল ইন্টারনেট গ্রাহকের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১১ কোটি ৯ লাখে। অন্যরা ব্রডব্যান্ড ও পিএসটিএন ইন্টারনেট গ্রাহক।
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) গত জুনের ইন্টারনেট ও মোবাইল গ্রাহকের হিসাবে দেখা গেছে এ চিত্র।কমিশনের দেয়া হিসাব থেকে দেখা গেছে, মে মাসে দেশে মোবাইল ইন্টারনেট গ্রাহক ছিল ১০ কোটি ৭৫ লাখ, অর্থাৎ এক মাসে মোবাইল ইন্টারনেট গ্রাহক বেড়েছে ৩৪ লাখ।
চলতি বছর সবচেয়ে বেশি মোবাইল ইন্টারনেট গ্রাহক বাড়ার তালিকায় ছিল মার্চ। সে মাসে ৩১ লাখ ৩৭ হাজার মোবাইল গ্রাহক যুক্ত হয়েছিল মোবাইল অপারেটরদের ঝুলিতে। সেই রেকর্ড ভেঙেছে জুনে।
জুনের হিসাবে দেশে পিএসটিএন ও ব্রডব্যান্ড মিলিয়ে গ্রাহকসংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ৫০ হাজার। মে মাসে এই সংখ্যা ছিল ৯৮ লাখ ১০ হাজার। সে হিসাবে এক মাসে গ্রাহক বেড়েছে দুই লাখের কিছু বেশি।
ইন্টারনেট গ্রাহক বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দেশে বেড়েছে মোবাইল গ্রাহকের সংখ্যাও।
জুনের হিসাবে দেশে এখন মোবাইল গ্রাহকের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৭ কোটি ৬৪ লাখ ১০ হাজার।
মে মাসে এই গ্রাহকসংখ্যা ছিল ১৭ কোটি ৫২ লাখ ৭০ হাজার।
৮ কোটি ২০ লাখ ৩০ হাজার গ্রাহক নিয়ে সবার ওপরে গ্রামীণফোন।
দ্বিতীয় অবস্থানে রবি। তাদের গ্রাহকসংখ্যা ৫ কোটি ১৮ লাখ ৪০ হাজার।
৩ কোটি ৬৫ লাখ ৬০ হাজার গ্রাহক নিয়ে তৃতীয় বৃহত্তম অপারেটর বাংলালিংক এবং ৫৯ লাখ ৮০ হাজার গ্রাহক নিয়ে চতুর্থ টেলিটক। ♦
