পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত বস্ত্র খাতের প্রতিষ্ঠান এইচআর টেক্সটাইল লিমিটেডের পরিচালনা পর্ষদ বন্ড ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) বিনিয়োগকারীদের এ তথ্য জানিয়েছে।
প্রাপ্ত তথ্যমতে, কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ নন-কনভার্টেবল কলঅ্যাবল জিরো কুপন বন্ড ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রাইভেট প্লেসমেন্টের মাধ্যমে ফেসভ্যালুসহ ১২৬ কোটি ২৮ লাখ ৮৫ হাজার ৮৭৮ টাকার বন্ড ইস্যু করবে কোম্পানিটি।
কোম্পানিটির প্রতি বন্ডের দাম হবে এক লাখ টাকা। ব্যাংক, ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, করপোরেট হাউস, বিদেশি ও সাধারণ বিনিয়োগকারীরা এ বন্ড ইস্যু করতে পারবেন। বন্ডটি তিন থেকে সাত বছরে ম্যাচিউর হবে। বন্ড ইস্যু থেকে উত্তোলিত অর্থ কোম্পানির মুনাফা বাড়ানোসহ কোম্পানিকে আরও সমৃদ্ধ তথা এগিয়ে নিতে সহায়তা করবে।
২০২০ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে এইচআর টেক্সটাইল। আলোচিত সময়ে শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে এক টাকা ১১ পয়সা, শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদমূল্য (এনএভি) দাঁড়িয়েছে ৪২ টাকা ৭৮ পয়সা।
এইচআর টেক্সটাইল এর আগের বছর, ২০১৯ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত সমাপ্ত হিসাববছরে নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে বিনিয়োগকারীদের ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছে। ওই সময় ইপিএস হয়েছে এক টাকা ৯১ পয়সা, এনএভি ৪২ টাকা ৭৮ পয়সা।
এইচআর টেক্সটাইল
বস্ত্র খাতের কোম্পানিটি ১৯৯৭ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়ে বর্তমানে ‘এ’ ক্যাটাগরিতে অবস্থান করছে।
১০০ কোটি টাকা অনুমোদিত মূলধনের বিপরীতে এর পরিশোধিত মূলধন ২৫ কোটি ৩০ লাখ টাকা। রিজার্ভের পরিমাণ ৮২ কোটি ৯৩ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট দুই কোটি ৫৩ লাখ শেয়ার রয়েছে।
ডিএসই’র সর্বশেষ তথ্যমতে, কোম্পানির মোট শেয়ারের মধ্যে উদ্যোক্তা ও পরিচালকদের কাছে রয়েছে ৫০ দশমিক ৬৪ শতাংশ শেয়ার, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীর কাছে সাত দশমিক ৭৬ শতাংশ এবং সাধারণ বিনিয়োগকারীর কাছে রয়েছে ৪১ দশমিক ৬০ শতাংশ শেয়ার। ♦