ইভ্যালির সৌজন্যে হাজারো পরিবারে এসো সবাইর ইফতার

0
কমার্স ভিত্তিক মার্কেটপ্লেস ইভ্যালি। প্রতিষ্ঠানটির সৌজন্যে এক হাজার পরিবারের মাঝে ইফতার সামগ্রী ও খাদ্যপণ্য বিতরণ করছে ‘এসো সবাই’। প্রতি পরিবারে গড়ে চার জন সদস্যের হিসেবে প্রায় চার হাজার মানুষ পাচ্ছেন এসব খাদ্য সামগ্রী ও ইফতার পণ্য।

করোনা পরিস্থিতিতে অসহায় ও কর্মহীন হয়ে পড়া জনগোষ্ঠীকে সাহায্যের উদ্দেশ্য নিয়ে যাত্রা করে ‘এসো সবাই’ সংগঠন। বাংলাদেশের তথ্য প্রযুক্তি, ব্যবসা ও অর্থনীতি ও সংস্কৃতি অঙ্গনের বিশিষ্টজনেরা এ উদ্যোগে সাড়া দিয়ে এগিয়ে আসেন। এর মধ্যে অন্যতম পৃষ্ঠপোষক দেশিয় উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত ইকমার্স সাইট ইভ্যালি ডট কম ডট বিডি।

পরিবারগুলোর মাঝে রমজানের খাদ্য সামগ্রী ও ইফতারের পণ্য বিতরণের উদ্দেশ্যে নিয়ে ইতিমধ্যে কার্যক্রম শুরু করেছে এসো সবাই। রাজধানীসহ গাইবান্ধা, কিশোরগঞ্জ, নড়াইল ও রংপুরে ইতিমধ্যে কর্মহীন ও অসহায় পরিবারের মাঝে এসব পণ্য বিতরণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে।

এসো সবাই এর অন্যতম সহ-উদ্যোক্তা এবং বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার এন্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস) এর পরিচালক দিদারুল আলম সানি বলেন, ‘চলমান সংকট নিরসনের ক্ষেত্রে সম্পদের যথাযথ ব্যবহার ও সুষম বণ্টন নিশ্চিতের মাধ্যমে তথ্য প্রযুক্তি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। তেমনই লক্ষ্য থেকে আমরা ছয়জন মিলে সম্পূর্ণ অনলাইন এবং ডিজিটাল ভিত্তিক এই সামাজিক উদ্যোগটি নিয়ে কাজ শুরু করি। আমাদের সাথে বিভিন্ন পেশার শতাধিক ব্যক্তিবর্গ আছেন। সম্প্রতি ইউটিউবে প্রকাশিত এক গানের মাধ্যমে তারা সবাই এসব ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে অন্যদের এগিয়ে আসতে আহ্বান জানিয়েছেন।’

তিনি বলেন, ‘ইভ্যালি ছাড়াও প্রায় ৮১ জন ব্যক্তি ও প্রাতিষ্ঠানিক দাতার কাছ থেকে ইতিমধ্যে ১৭ লক্ষাধিক টাকা অনুদান জমা হয়েছে। এছাড়া প্রযুক্তির সহায়তায় অনুদান সংগ্রহ করে তাদের মাঝে বিতরণ করতে পারছি। আবার সামাজিক দূরত্বও নিশ্চিত থাকছে। আবার অনুদান ডিজিটাল মাধ্যমে গ্রহণ করার ফলে আমাদের কার্যক্রমের স্বচ্ছতাও থাকছে।’

ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রাসেল বলেন, ‘দেশিয় উদ্যোগ হিসেবে ইভ্যালি সবসময়ই দেশ ও জাতির প্রতি নিজেদের কর্তব্য এবং দায়বদ্ধতা অনুভব করে। সংকটকালীন এই সময়ে আমরা আমাদের সীমিত সামর্থ্য থেকে যতটুকু সম্ভব সবার সাহায্যে এগিয়ে আসতে চাই। একই সাথে অন্যদেরও অনুরোধ করব তারাও যেন এগিয়ে আসেন।’

মোহাম্মদ রাসেল আরও বলেন, ‘এসো সবাই ডিজিটাল মাধ্যমে অনুদান সংগ্রহ এবং বিতরণ করছে বলে এতে স্বচ্ছতাও থাকছে। একটি ডিজিটাল প্রতিষ্ঠান হিসেবে আরেকটি ডিজিটাল স্বেচ্ছাসেবী ভিত্তিক সংগঠনের পাশে থাকতে পেরে আমরা আনন্দিত। এমন সময়ে যতটা সম্ভব শারীরিক দূরত্ব মেনে ডিজিটাল মাধ্যমকে ব্যবহার করে সংকট উত্তরণে আমাদের সবাইকে কাজ করে যেতে হবে। এই রমযানে আমাদের সবার উচিত নিজ নিজ সামর্থ্য অনুযায়ী অন্যের পাশে দাঁড়ানো।’

Share.