নতুন ব্যবসায়িক কার্যক্রম উদ্বোধন করতে চলেছে এক্স প্ল্যাটফর্ম। এক্সের কর্মকর্তারা বলেছেন, তারা ভিডিও-অডিও কল, চাকরির নিয়োগ প্রভৃতি নতুন পণ্য চালু করার ক্ষেত্রে ইউটিউব ও লিংকডইনকে তাদের প্রধান প্রতিযোগী হিসেবে দেখছেন।
সম্প্রতি টুইটার ইনকরপোরেটেডে ইলন মাস্কের দখল নেয়ার এক বছর পূর্ণ হয়েছে। এজন্য একটি বৈঠকে এক্সের মালিক মাস্ক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) লিন্ডা ইয়াক্কারিনো কর্মীদের সঙ্গে মিলিত হন। তারা এক্সওয়্যার নামে একটি নিউজ ওয়্যার সার্ভিস তৈরি করার কথা জানিয়েছেন, যা সিশন্স কোম্পানির পিআর নিউজওয়্যারের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। বিষয়টি সম্পর্কে অবগত একটি সূত্র এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।
এই প্রথম মাস্ক এবং ইয়াক্কারিনো পুরো কোম্পানিকে একসঙ্গে নিয়ে বৈঠক করেন। ইয়াক্কারিনোকে গত মে মাসে এক্সের সিইও হিসাবে নিয়োগ করা হয়েছিল। এর আগে তিনি এনবিসিইউনিভার্সালে বিজ্ঞাপন ও পার্টনারশিপের দায়িত্বে ছিলেন।
বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি মাস্ক এক বছর আগে ২৭ অক্টোবর টুইটারকে ৪৪ বিলিয়ন বা চার হাজার ৪০০ কোটি ডলারে কিনে নেন। অধিগ্রহণের পর তিনি টুইটারের অনেক কর্মচারীকে বরখাস্ত করেন এবং বেশ কিছু কর্মী পদত্যাগ করেন।
শুরু থেকে ইলন মাস্ক আগ্রাসীভাবে কোম্পানির ব্যয় কমাচ্ছেন। এরপর বিজ্ঞাপনদাতারা তার প্ল্যাটফর্ম থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়ার কারণে রাজস্ব কমতে থাকে। এর পর অ্যাকাউন্ট সাবস্ক্রিপশন থেকে আয় বৃদ্ধির চেষ্টা করছেন। একই সঙ্গে তারা বিজ্ঞাপনী রাজস্ব বৃদ্ধির চেষ্টাও করে যাচ্ছে। প্ল্যাটফর্মটি ব্যবহারকারীদের কনটেন্ট ক্রিয়েটর হতে উৎসাহিত করছে। এরই ধারাবাহিকতায় ফেব্রুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত বিজ্ঞাপনী আয় হিসেবে প্রাথমিকভাবে কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের ৫ মিলিয়ন বা ৫০ লাখ ডলার দেয়া হয়।
এক্সের প্রতিদ্বন্দ্বী ইউটিউব, লিংকডইন ও পিআর নিউজওয়্যার প্রতিযোগীরা কেমন হবে, তা স্পষ্ট নয় এবং কোম্পানির নির্বাহীরা এ বিষয়ে তথ্য দিতে চাননি।
কর্মীদের কাছে পাঠানো একটি যৌথ বিবৃতিতে মাস্ক ও ইয়াক্কারিনো বলেছেন, সংস্থাটি প্রবৃদ্ধির জন্য মনোযোগ দিচ্ছেন। তারা উদ্ভাবনী প্রযুক্তির ওপর গুরুত্বারোপ করছেন। ♦