রুশ বাহিনীকে প্রতিহত করতে ইউক্রেনকে আরও ২৭ কোটি ডলারের সামরিক সহায়তা দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। গত শুক্রবার দেশটির প্রেসিডেন্টের বাসভবন হোয়াইট হাউস থেকে দেয়া এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে আরও বলা হয় ইউক্রেনে সামরিক সহয়তা অব্যাহত রাখবে যুক্তরাষ্ট্র।
বিবৃতিতে বলা হয়, সামরিক ও আর্থিক সহায়তা বাবদ ইউক্রেনকে প্রাথমিকভাবে ৪ হাজার ৮২০ কোটি ডলার দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এদিন গত মে মাসে ইউক্রেনের জন্য সহায়তা বরাদ্দ বিষয়ক একটি বিলও পাস হয় কংগ্রেসে।
বিল অনুযায়ী, প্রাথমিকভাবে বরাদ্দ এই সহায়তার মধ্যে ৮২০ কোটি ডলার দেবে বাইডেন প্রশাসন। বাকি ৪ হাজার কোটি ডলার দেবে যুক্তরাষ্ট্রের আইনসভা কংগ্রেস। বরাদ্দ এ অর্থ থেকে ইউক্রেনকে ২৭ কোটি ডলারের সামরিক সহায়তা দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
এই সামরিক সহায়তা প্যাকেজে রয়েছে ৪টি হাই মোবিলিটি আর্টিলারি রকেট সিস্টেম (এইচআইএমএআরএস) ও ৫৮০টি অত্যাধুনিক ফনিক্স ঘোস্ট ড্রোন (চালকবিহীন বিমান)। রুশ বাহিনীকে ঠেকাতে এসব অস্ত্র বেশ কার্যকর বলে মনে করেন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নিরাপত্তা উপদেষ্টা ও হোয়াইট হাউসের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের সমন্বয়ক জন কিরবি। বিবৃতিতে কিরবি বলেন, আমাদের প্রেসিডেন্ট স্পষ্টভাবে বলেছেন, যতদিন এই যুদ্ধ চলবে— ততদিন ইউক্রেনকে সহায়তা দিয়ে যাবে যুক্তরাষ্ট্র।
যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের সামরিক জোট ন্যাটোকে ঘিরে দ্বন্দ্বের জেরে সীমান্তে আড়াই মাস সেনা মোতায়েন রাখে রাশিয়া। এর পর গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে বিশেষ সামরিক অভিযান শুরুর ঘোষণা দেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। এই ঘোষণার দু’দিন আগে ইউক্রেনের রুশ বিচ্ছিন্নতাবাদী নিয়ন্ত্রিত দুই অঞ্চল দনেতস্ক ও লুহানস্ককে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেন তিনি।
আজ রবিবার ১৫৬তম দিনে গড়িয়েছে ইউক্রেনে রুশ সেনাদের অভিযান। এই চার মাসের মধ্যে ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ লুহানস্ক, ইউক্রেনের দুই বন্দর শহর খেরসন ও মারিউপোল, দনেতস্ক প্রদেশের শহর লিয়াম, মধ্যাঞ্চলীয় প্রদেশ জাপোরিজ্জিয়ার আংশিক এলাকার পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ চলে গেছে রুশ বাহিনীর হাতে। ♦