কোভিড-১৯ প্রতিরোধে কার্যকর টিকা উদ্ভাবনে সফল হয়েছেন গবেষকরা। তবে টিকা নিতে মানুষ যাতে ব্যথা না পায়, সে জন্য সুচহীন প্যাঁচ বা পট্টি তৈরির চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তারা, যা করোনা থেকে জীবন বাঁচাতে সহায়তা করবে।
সুচহীন প্যাঁচ উদ্ভাবনে প্রায় শেষপর্যায়ে বিজ্ঞানীরা। আর এটি হলে চিকিৎসাবিজ্ঞানের বৈপ্লবিক অগ্রগতি হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
সুচহীন প্যাঁচের মাধ্যমে টিকা নেয়ার সময় শিশুদের কান্না এবার বন্ধ হবে বলে আশাবাদী গবেষকরা। এ ছাড়া যাদের সিরিঞ্জ ভীতি রয়েছে, তাদের জন্য এ প্যাঁচ উদ্ভাবনের খবর স্বস্তির।
একই সঙ্গে সুচহীন প্যাঁচে টিকা দিলে টিকা কার্যক্রমও দ্রুত হবে, কারণ এ পদ্ধতিতে নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় টিকা রাখার বাধ্যবাধকতা নেই।
ইঁদুরের ওপর সম্প্রতি এ-সংক্রান্ত গবেষণা চালিয়ে আশাব্যঞ্জক ফল পেয়েছেন যুক্তরাষ্ট্র ও অস্ট্রেলিয়ার একদল বিজ্ঞানী। সায়েন্স অ্যাডভান্সেস সাময়িকীতে ওই গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়।
গবেষণায় এক বর্গসেন্টিমিটার আকৃতির প্যাঁচ ব্যবহার করা হয়। ওই প্যাঁচে পাঁচ হাজারের বেশি আণুবীক্ষণিক স্পাইক ছিল।
অস্ট্রেলিয়ার ইউনিভার্সিটি অব কুইন্সল্যান্ডের ভাইরোলজিস্ট ও গবেষণা প্রতিবেদনের সহলেখক ডেভিড মুলার বলেন, ‘ডটের মতো দেখতে আণুবীক্ষণিক স্পাইকগুলো এত ছোট যে সেগুলো খালি চোখে প্রায় দেখাই যায় না।’
তিনি আরও বলেন, স্পাইকের আগায় পরীক্ষামূলক টিকার প্রলেপ থাকে। আর প্যাঁচটি আইস হকির পাকের মতো দেখতে একটি অ্যাপ্লিকেটরে যুক্ত থাকে। এটি শরীর স্পর্শ করলে ভালো অনুভূতি হবে।
গবেষণায় ইঁদুরগুলোকে দুই মিনিট ধরে প্যাঁচ বা সিরিঞ্জের মাধ্যমে টিকা দেয়া হয়।
যে ইঁদুরগুলোকে প্যাঁচের মাধ্যমে দুই ডোজ টিকা দেয়া হয়, তাদের শরীরের প্রতিরোধক্ষমতা বেড়ে যায়। শুধু তা-ই নয়, ইঁদুরগুলোর ফুসফুসের কার্যক্ষমতাও প্যাঁচের ফলে বাড়ে।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, ইঁদুরের দেহে প্যাঁচের কার্যকারিতা সিরিঞ্জের চেয়ে বেশি।
মুলার বলেন, ‘ইঁদুরগুলোর মধ্যে কয়েকটিকে টিকার একটি ডোজ দেয়া হয়। সেগুলো একেবারেই অসুস্থ হয়নি।’ ♦