যুক্তরাষ্ট্রের লস আলামোস ন্যাশনাল ল্যাবরেটরির একদল গবেষকের নেতৃত্বে করা নতুন গবেষণায় এ তথ্য উঠে এসেছে। ৩৩ পৃষ্ঠার এ গবেষণা প্রতিবেদনটি বায়োআরজিভ নামের একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়।
ওই গবেষণায় বলা হয়, ফেব্রুয়ারিতে ইউরোপে প্রথম এ নতুন স্ট্রেইনের সন্ধান পাওয়া যায়। এরপর তা দ্রুত যুক্তরাষ্ট্রের পূর্ব উপকূলে ছড়িয়ে পরে। এরপর মার্চের মাঝামাঝি তা বিশ্বব্যাপী শক্তিশালী হয়ে ওঠে।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, এটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে কোনো ব্যক্তিকে প্রথমবার আক্রান্ত করার পর দ্বিতীয়বারও আক্রান্ত করতে পারে।
লস আলামোস ন্যাশনাল ল্যাবরেটরির গবেষকরা বলছেন, তারা এ ভাইরাস সম্পর্কে আগাম সতর্কবার্তা দেওয়ার প্রয়োজন অনুভব করেছেন, যাতে তৈরি হতে যাওয়া টিকা বা ওষুধগুলো নতুন স্ট্রেইনের বিরুদ্ধে কার্যকর হতে পারে। গবেষণায় বলা হয়, বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়া নতুন স্ট্রেইনটি আরো বেশি মানুষকে আক্রান্ত করছে, যা কি না উহানে ছড়িয়ে পড়া শুরুর দিকের স্ট্রেইনের চেয়ে অনেক বেশি ছোঁয়াচে। উহানের পর কয়েক সপ্তাহের মধ্যে নতুন স্ট্রেইনটি বিশ্বব্যাপী প্রভাব বিস্তার করে।
গবেষণার নেতৃত্বে থাকা বেটে করবার বলেছেন, ‘বিষয়টি অনেক উদ্বেগজনক, যেহেতু আমরা দেখতে পাচ্ছি, ভাইরাসটি খুব দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। ভাইরাসটি মার্চের মধ্যে বিশ্বব্যাপী মহামারি আকার নেয়। এটি যখন কোনো সম্প্রদায়ের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে, তখন তা স্থানীয়ভাবে মহামারি আকার নেয়। এরপর তা আরো সংক্রামক হয়ে ওঠে।’ ♦