বৃহৎ আকারে তৃতীয় ধাপের ভ্যাকসিন পরীক্ষা চালাতে সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) অনুমোদন পেয়েছে চায়না ন্যাশনাল বায়োটেক গ্রুপ (সিএনবিজি)। গতকাল চীনা প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে আরব আমিরাতে করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন পরীক্ষা চালানোর কথা জানানো হয়েছে।
চীনে নতুন করে করোনায় সংক্রমিত রোগী কমে যাওয়ায় এখন দেশটির বাইরে সম্ভাব্য ভ্যাকসিন পরীক্ষার জন্য জায়গা খোঁজা হচ্ছে।
বিশ্বজুড়ে এক ডজনের বেশি ভ্যাকসিন আগেভাগে আনার জন্য প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো ভ্যাকসিন সফলভাবে তৃতীয় ধাপের ক্লিনিক্যাল পরীক্ষা পর্ব পেরোতে পারেনি। পরীক্ষার তৃতীয় ধাপে ব্যাপকভাবে সুস্থ মানুষের মধ্যে ভ্যাকসিনটি প্রয়োগ করে এর কার্যকারিতা ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা পরীক্ষা করে দেখা হয়। করোনাভাইরাসের কারণে বিশ্বজুড়ে ৪ লাখ ৭০ হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছেন।
সাধারণত হাজারও মানুষকে নিয়ে ভ্যাকসিনের তৃতীয় ধাপ পরীক্ষা করা হয়। যে দেশে ভাইরাস বিস্তৃত আকারে ছড়াচ্ছে, সেখানে এটি পরীক্ষা করা হবে। এতে বাস্তব জীবনে ভ্যাকসিনের প্রকৃত কার্যকারিতা দেখা হয়।
গত বছরের ডিসেম্বরে চীনের উহান থেকে করোনাভাইরাস মহামারি ছড়ালেও গত মাস থেকে দেশটিতে দিনে সর্বোচ্চ ১০ জন রোগী শনাক্ত হচ্ছে। ভাইরাসের প্রকোপ কমে যাওয়ায় চীনা প্রতিষ্ঠানগুলো দেশের বাইরে ভ্যাকসিন পরীক্ষা করতে চাইছে।
চীনের রাষ্ট্রনিয়ন্ত্রিত চায়না ন্যাশনাল ফার্মাসিউটিক্যাল গ্রুপের (সিনোফ্রাম) অ্যাফিলিয়েট প্রতিষ্ঠান থেকে করোনাভাইরাস প্রতিরোধী সম্ভাব্য দুটি ভ্যাকসিন প্রস্তুত করা হয়েছে। এগুলো ইতিমধ্যে চীনে দুই হাজার মানুষের ওপর প্রয়োগ করা হয়েছে।
চীনের ভ্যাকসিন প্রস্তুতকারক অন্য সংস্থার মধ্যে ক্লোভার বায়োফার্মাসিউটিক্যাল দেশের বাইরে ভ্যাকসিন পরীক্ষা করছে। ইতিমধ্যে তা অস্ট্রেলিয়ায় প্রাথমিক পরীক্ষা করা হয়েছে। এর বাইরে সিনোভ্যাক বায়োটেক শিগগির ব্রাজিলে নয় হাজার স্বেচ্ছাসেবকের মধ্যে ভ্যাকসিন প্রয়োগ করে তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা শুরু করবে। ♦