প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার (সিইও) পদ হারানোর পাঁচ দিন পর আবার ওপেনএআইয়ে ফিরলেন স্যাম অল্টম্যান। গত শুক্রবার তাকে ওই পদ থেকে অব্যাহতি দিয়েছিল চ্যাটজিপিটির উদ্ভাবক প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা পর্ষদ।
স্যামকে ওপেনএআই থেকে সরিয়ে দেয়ার পর শুরু হয় নাটকীয়তা। মাঝে একবার জানা যায়, স্যামকে ওপেনএআইয়ে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে। পরে জানা যায়, মাইক্রোসফটে যোগ দিয়েছেন তিনি। এখন আবার তিনি ওপেনএআইয়ের নিজ পদে ফিরলেন।
ওপেনএআইয়ের পরিচালনা পর্ষদ স্যামকে চাকরিচ্যুত করার কারণ হিসেবে প্রতিষ্ঠান পরিচালনায় স্যামের সক্ষমতা নিয়ে আস্থার ঘাটতির কথা জানায়।
স্যাম ওপেনএআইয়ের সহপ্রতিষ্ঠাতা ছিলেন। পরিচালনা পর্ষদ তাকে বরখাস্ত করায় ওপেনএআইয়ের প্রেসিডেন্টের পদ ছাড়ার ঘোষণা দেন গ্রেগ ব্রোকম্যান। তিনিও প্রতিষ্ঠানটির একজন সহপ্রতিষ্ঠাতা।
এরপর ওপেনএআইয়ের পক্ষ থেকে নতুন সিইও হিসেবে এমেট শেয়েরকে নিয়োগ দেয়া হয়। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের টিভি সম্প্রচারমাধ্যম টুইসের সাবেক প্রধান।
এরপর গত সোমবার ওপেনএআইয়ের পরিচালনা পর্ষদের উদ্দেশে একটি খোলাচিঠি লেখেন প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা। চিঠিতে তারা মোটাদাগে দুটি দাবি তুলেন। এর মধ্যে ছিল—প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা পর্ষদকে পদত্যাগ করতে হবে। চাকরি খোয়ানো সিইও স্যাম অল্টম্যান ও পদত্যাগ করা প্রেসিডেন্ট গ্রেগ ব্রোকম্যানকে ওপেনএআইয়ে ফেরাতে হবে।
এরপর নতুন মাত্রা যোগ করেন মাইক্রোসফটের সিইও সত্য নাদেলা। তিনি জানান, স্যাম অল্টম্যান ও গ্রেগ ব্রোকম্যান মাইক্রোসফটে যোগ দিচ্ছেন। তারা মাইক্রোসফটে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসংক্রান্ত (এআই) একটি আধুনিক গবেষণা দলের নেতৃত্ব দেবেন।
স্যামকে চাকরিচ্যুত করায় পরিচালনা পর্ষদের ওপর বিরক্ত ও উদ্বিগ্ন বিনিয়োগকারীরাও। তারা মনে করছেন, কাটি কোটি ডলার লোকসানের মুখোমুখি হতে পারেন। এমনকি প্রতিষ্ঠানটির পরিচালনা পর্ষদের বিরুদ্ধে কেউ কেউ আইনিব্যবস্থা নেয়ার কথাও ভাবছেন। আলোচনা করছেন আইনি পরামর্শকদের সঙ্গেও।
এরপর হয় স্যাম ও গ্রেগকে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ নেয়া হয়। স্যামকে চাকরিচ্যুত করার পর এখন ওপেনএআইয়ের পরিচালনা পর্ষদে রয়েছেন চারজন সদস্য। তাদের মধ্যে অ্যাডাম ডি’ অ্যাঞ্জেলো, তাসা শ্যাককুলে ও হেলেন তোনের সরাসরি ওপেনএআইয়ের কর্মকর্তা নন। আরেকজন হলেন ইলিয়া সুস্টকএভার। তিনি ওপেনএআইয়ের সহপ্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান বিজ্ঞানী। ♦