আন্তর্জাতিক শিশু চলচ্চিত্র উৎসব বাংলাদেশের ১৪তম আসর গতকাল শনিবার (৩০ জানুয়ারি) রাজধানীতে শুরু হয়েছে। চিলড্রেন’স ফিল্ম সোসাইটি বাংলাদেশ আয়োজন করেছে এ উৎসব।
সপ্তাহব্যাপী এ উৎসব চলবে ৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। এবারের উৎসবে রাজধানীর তিন ভেন্যুতে ৩৭ দেশের ১৭৯ শিশুতোষ চলচ্চিত্র প্রদর্শন করা হবে।
শাহবাগের সুফিয়া কামাল জাতীয় গণগ্রন্থাগারের শওকত ওসমান মিলনায়তনে ৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত, জাতীয় জাদুঘরের সুফিয়া কামাল মিলনায়তন ও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে ৪ ফেব্রুয়ারি চলচ্চিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিদিন সকাল ১১টা, দুপুর ২টা, বিকেল ৪টা ও সন্ধ্যা ৬টায় চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে।
প্রতিটি প্রদর্শনীতে একাধিক শিশুতোষ চলচ্চিত্র দেখানো হচ্ছে। অভিভাবক ও শিশু-কিশোরসহ সবার জন্য উন্মুক্ত এ প্রদর্শনী। স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরিচালনা করা হচ্ছে। মাস্ক পরিধানকে চলচ্চিত্র উৎসবের টিকেট হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
উৎসবের উদ্বোধন হয়েছে গতকাল বিকেল ৪টায়। উদ্বোধন করেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন, সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। সভাপতিত্ব করেন চিলড্রেন’স ফিল্ম সোসাইটি বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা চলচ্চিত্র নির্মাতা মোরশেদুল ইসলাম।
তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, দেশমাতৃকাকে এগিয়ে নিতে চলচ্চিত্র গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। আমরা আশাবাদী, এ উৎসব থেকে অনেক প্রতিভা বেরিয়ে আসবে।
শিশুদের এ উৎসব আয়োজন করছে শিশুরাই। বিষয়টিতে নিজের মুগ্ধতার কথা জানান সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ।
অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য দিয়েছেন চিলড্রেনস ফিল্ম সোসাইটি বাংলাদেশের অনুষ্ঠান সম্পাদক রায়ীদ মোরশেদ মনন। উৎসবের বিস্তারিত তুলে ধরেন উৎসব পরিচালক ফারিহা জান্নাত মিম।
উৎসবটির অন্যতম আকর্ষণীয় বিভাগ হিসেবে থাকছে বাংলাদেশি শিশুদের নির্মিত প্রতিযোগিতা ‘ইয়ং বাংলাদেশি ট্যালেন্ট’ বিভাগ। এ বিভাগে ১৯ থেকে ২৫ বছর বয়সী তরুণ নির্মাতাদের নির্বাচিত ১৯ চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে। পাঁচ চলচ্চিত্র পুরস্কৃত করা হবে।
মুক্তিযুদ্ধের সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষ্যে রয়েছে ‘মুক্তির চলচ্চিত্র’ শিরোনামে বিশেষ আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র প্রদর্শনী বিভাগ। আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা বিভাগে জমা পড়েছিল ৮১ দেশের ১ হাজার ১১৬ চলচ্চিত্র। এর মধ্যে নির্বাচিত হয়েছে বাংলাদেশসহ অন্য ৩৭ দেশের ১১৬ চলচ্চিত্র।
বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে নতুন একটি সামাজিক চলচ্চিত্র প্রতিযোগিতা বিভাগ রাখা হয়েছে ‘নিউ নরমাল’ শিরোনামে।
উৎসবে প্রতিনিধিদের জন্য চার কর্মশালা ও সেমিনারের আয়োজন করা হয়েছে। ডিরেকশন ও সিনেমাটোগ্রাফির ওপর কর্মশালা পরিচালনা করবেন অমিতাভ রেজা চৌধুরী ও তাহসিন রহমান। স্ক্রিপ্টরাইটিংয়ের উপর কর্মশালা পরিচালনা করবেন সাদিয়া খালিদ রীতি, প্রোডাকশন ডিজাইনের উপর কর্মশালা পরিচালনা করবেন রঞ্জন রাব্বানী, ফেস্টিভ্যাল সার্কিট সম্পর্কে কর্মশালা পরিচালনা করবেন আবু শাহেদ ইমন।
এ ছাড়া শিশু-তরুণ প্রতিনিধিদের সঙ্গে অন্তরঙ্গ আড্ডায় উপস্থিত থাকবেন মুক্তিযোদ্ধা লেফটেনেন্ট র্কনেল (অব.) কাজী সাজ্জাদ আলী জহির বীর প্রতীক, মো. মাশরুকুল হক ও মারুফা মাশরুক।
সেলিব্রেটি আড্ডায় থাকছেন প্রথম বাংলাদেশি নারী এভারেস্টজয়ী পর্বতারোহী নিশাত মজুমদার। আরো থাকছেন সংগীতশিল্পী শায়ান চৌধুরী অর্ণব ও সুনিধি নায়েক। ♦