আজ ১২ আগস্ট আন্তর্জাতিক যুব দিবস। বাংলাদেশের জন্য দিবসটি বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ বর্তমানে বাংলাদেশের প্রায় অর্ধেক জনগোষ্ঠিই তরুণ। তরুণরাই উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণের প্রকৃত কারিগর।
তামাকাসক্ত তরুণ সমাজ এ স্বপ্ন পূরণে অবদান রাখতে পারবে না বরং রাষ্ট্রের জন্য বোঝা হয়ে দাঁড়াবে। শক্তিশালী তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনই পারে তরুণদের তামাকের ছোবল থেকে সুরক্ষা দিতে।
আন্তর্জাতিক যুব দিবস উপলক্ষ্যে তরুণ ও যুব সমাজকে তামাকমুক্ত রাখতে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন শক্তিশালীকরণের জন্য বিদ্যমান আইন সংশোধনের দাবি জানিয়েছে তামাকবিরোধী গবেষণা ও অ্যাডভোকেসি প্রতিষ্ঠান প্রজ্ঞা (প্রগতির জন্য জ্ঞান)।
টোব্যাকো অ্যাটলাসের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে ১০ থেকে ১৪ বছর বয়সীদের মধ্যে তামাক ব্যবহারকারীর সংখ্যা ১ লাখ ৭২ হাজারের বেশি। অল্প বয়সে তামাকপণ্যে আসক্ত হয়ে পড়লে ফুসফুসের কার্যক্ষমতা হ্রাস পেতে থাকে এবং বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ফুসফুসের স্বাভাবিক বৃদ্ধি বাধাগ্রস্ত হয়।
ফুসফুস ক্যানসার, হৃদরোগ, অকাল বার্ধক্য, মানসিক অস্থিতিশীলতাসহ নানা রোগ হয় তামাকের কারণে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য মতে, যারা কিশোর বয়সে ধূমপানে আসক্ত হয়, তাদের অ্যালকোহলে আসক্ত হয়ে পড়ার সম্ভাবনা স্বাভাবিকের তুলনায় তিন গুণ বেশি এবং কোকেইনের ক্ষেত্রে ২২ গুণ বেশি। অর্থাৎ তামাক ও নিকোটিন কেবল একটি আসক্তিই নয়, এটি তরুণদের আরও অনেক বিধ্বংসী আসক্তির পথে পরিচালিত করে।
তামাক একই সঙ্গে কোভিড-১৯ সংক্রমণ সহায়ক।
যুব দিবস উপলক্ষ্যে এক প্রতিক্রিয়ায় প্রজ্ঞার নির্বাহী পরিচালক এবিএম জুবায়ের বলেন, “একটি সুস্থ প্রজন্ম গড়ে তুলতে তামাক একটি বড় বাধা। তরুণ সমাজকে তামাক ব্যবহারে নিরুৎসাহিত করতে দ্রুততম সময়ের মধ্যে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন করে আরো শক্তিশালী এবং যুগোপযোগী করতে হবে।”
তরুণদের সুরক্ষায় সংশোধনীতে বিক্রয়স্থলে তামাকজাত দ্রব্য প্রদর্শন নিষিদ্ধ, বিড়ি-সিগারেটের সিঙ্গেল স্টিক বা খুচরা শলাকা বিক্রয় নিষিদ্ধ, ই-সিগারেট এবং হিটেড টোব্যাকো প্রোডাক্টসের (এইচটিপি) মতো ইমার্জিং টোব্যাকো প্রোডাক্ট আমদানি ও বিক্রয় নিষিদ্ধ, তামাকপণ্যের মোড়কে সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবার্তার আকার বাড়িয়ে ৯০% এবং পাবলিক প্লেস ও পরিবহনে ‘ধূমপানের জন্য নির্ধারিত স্থান’ বিলুপ্ত প্রভৃতি বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। ♦