ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান বন্ধ না করে বরং আইনি কাঠামোর মধ্যে এনে ব্যবসা করার সুযোগ দেয়াসহ ৭ দফা দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ই-কমার্স কাস্টমার্স অ্যাসোসিয়েশন।
আজ জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে সংগঠনটি আয়োজিত মানববন্ধনে এ দাবি জানানো হয়।
তাদের দাবি, কোনো ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান যদি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পণ্য ডেলিভারি দিতে ব্যর্থ হয়, তাহলে গ্রাহক যে মাধ্যমে পেমেন্ট করেছে সে মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সমপরিমাণ টাকা ৩ থেকে ৪ কার্যদিবসের মধ্যে ফেরত দিতে হবে।
এছাড়া কোনো ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান যদি বন্ধ হয়ে যায়, তাহলে গ্রাহকদের পেমেন্টকৃত টাকা গেটওয়েতে (গ্রাহক) ক্লেম করলে ফেরত দিতে হবে।
এ ক্ষেত্রে ওই ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের অনুমতির প্রয়োজন নেই।
তারা আরও দাবি জানান, যদি কোনো ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান গ্রাহকদের অর্থ আত্মসাৎ করে অথবা সেবা দিতে ব্যর্থ হয়, তাহলে তার দায়ভার সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে নিতে হবে।
পুরাতন যেসব ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান রয়েছে তাদের সরকারের কঠোর নজরদারির আওতায় রেখে ব্যবসা করার সুযোগ দিতে হবে।
মানববন্ধনে ভুক্তভোগী অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মকর্তা মোস্তাক হোসেন জানান, নিজের পেনশনের ১১ লাখ টাকা দিয়ে ১০টি পালসার বাইক অর্ডার করেছিলেন কিউকমে। সেই টাকাটা এখন আটকা রয়েছে। এই টাকা দ্রুততম সময়ের মধ্যে ফিরিয়ে দেয়ার দাবি জানাচ্ছি।
আরেক ভুক্তভোগী গ্রাহক নূর আলম রতন বলেন, মিডিয়ায় এসেছে পেমেন্ট গেটওয়ে প্রতিষ্ঠান ফ্রস্টার বলেছে, কিউকমের টাকা তাদের কাছে আছে। বাংলাদেশ ব্যাংক অনুমতি দিলে এই টাকা গ্রাহকদের ফিরিয়ে দেয়া হবে। এখন আমরা চাই, বাংলাদেশ ব্যাংক দ্রুত টাকাটা আমাদের ফিরিয়ে দেয়ার ব্যবস্থা করুক।
মানববন্ধনে বাংলাদেশ ই-কমার্স কাস্টমার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি জুবায়ের আহমেদ হৃদয়, সাধারণ সম্পাদক আবিদ খান, কিউকম কাস্টমার অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিষ্ঠাতা ও সভাপতি জেসি আলম হৃদয়, সাধারণ সম্পাদক আলামিন আহমেদসহ শতাধিক ভুক্তভোগী ক্রেতা উপস্থিত ছিলেন। ♦