অড়হর ডালে ৭ খাবার উদ্ভাবন বাকৃবি গবেষকের

0

ড়হর গাছের বীজ প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে কাবাবসহ মুখরোচক সাতটি খাদ্য তৈরি করা সম্ভব। এগুলো হলো শুকনো বীজের অড়হর- রুটি, পুরি, শিঙাড়া, সেদ্ধ কাঁচা বীজের পেস্ট দিয়ে অড়হর-হালুয়া, কাবাব এবং বীজ ভাজা ও কাঁচা বীজের সবজি।

মুখরোচক এসব খাদ্য উদ্ভাবনের দাবি করেছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) ফসল উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ছোলায়মান আলী ফকির।

গত শনিবার (৭ জানুয়ারি) বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফসল উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের সম্মেলন কক্ষে এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ফসল উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের প্রধান অধ্যাপক আলমগীর হোসেন ও অধ্যাপক নেছার উদ্দীন।

অধ্যাপক ছোলায়মান আলী বলেন, অড়হর ডালের পেস্ট আটার সঙ্গে মিশিয়ে রুটি করা হয়েছে। এটি ভাতের বিকল্প হিসেবে চালের ওপর চাপ কমাবে। ভাতের চেয়ে কার্বোহাইড্রেট অনেকাংশে কম থাকায় ওজন নিয়ন্ত্রণে কার্যকর। স্বল্প খরচে ডালের চাহিদা পূরণে অড়হর গাছ ভূমিকা রাখবে। তরকারিতে মটরশুঁটির বিকল্প ডাল হিসেবেও ব্যবহার করা যাবে।

অড়হরের পুষ্টি উপাদান ও ঔষধি গুণ সম্পর্কে তিনি বলেন, অড়হর বীজে প্রায় ২১ শতাংশ আমিষ বিদ্যমান। কম চর্বি, বেশি আঁশ ও খনিজ পদার্থ থাকায় এটি স্বাস্থ্যসম্মত। এর উচ্চমাত্রার আঁশ হজম প্রক্রিয়া সহজ করে। স্বল্পমাত্রায় কোলেস্টেরল, উচ্চমাত্রায় পটাশিয়াম ও আঁশ থাকায় অড়হর বীজ হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। এর সবুজ পাতার রস জন্ডিস নিরাময়ে কার্যকর। আয়রনের উপস্থিতি থাকায় রক্তশূন্যতা রোধে সাহায্য করে। পটাশিয়ামের উপস্থিতি রক্তচাপ প্রশমন করে। অড়হর ডালের ভিটামিন-বি, রিবোফ্লাভিন ও নিয়াসিনের উপস্থিতি দেহের শক্তিবর্ধক হিসেবে কাজ করে।

অড়হরের ফলন সম্পর্কে গবেষক জানান, অড়হরের জাতভেদে গাছ প্রতি ২০০ থেকে ৫০০ গ্রাম শুকনো ডাল এবং ৫৫০ থেকে ৯০০ গ্রাম সবুজ বীজ পাওয়া যায়। জমিতে চাষ করলে হেক্টর প্রতি ৪০০ থেকে ৮০০ কেজি ডালের ফলন হয়। শেকড়ের রাইজোবিয়াম ব্যাকটেরিয়া মাটির উর্বরতা বৃদ্ধিতে সহায়ক।

অড়হর ডালের ফলন অন্যান্য ডালের চেয়ে লাভজনক বলেও জানান তিনি। 

Share.