ই-কমার্স জায়ান্ট অ্যামাজন কোভিড-১৯-এ আক্রান্ত কর্মীদের আইসোলেশনে থাকার সময় কমিয়েছে। আগে প্রতিষ্ঠানটির কেউ কোভিড পজিটিভ হলে ১০ দিন তাকে আইসোলেশন থাকতে হতো। এখন সেই সময়সীমা সাত দিন করা হয়েছে। এতে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে কর্মীদের মধ্যে।
তবে গত শুক্রবার অ্যামাজনের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, তারা যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ ও প্রতিরোধ কেন্দ্রের (সিডিসি) সবশেষ নির্দেশনা মেনে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
গত মঙ্গলবার (৪ জানুয়ারি) সিডিসি এ সংক্রান্ত নতুন নির্দেশনা দিয়েছে। সংস্থাটি করোনার সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের পাঁচদিন আইসোলেশনে থাকার কথা বলেছে।
করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রনের কারণে যুক্তরাষ্ট্রে বেড়েছে সংক্রমণ বাড়ছে। এজন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, নানা ধরণের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ বিমান পরিবহন সংস্থায় বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। দেখা দিয়েছে কর্মী ঘাটতি। তাই আইসোলেশনের সময় কমিয়ে আনা হয়েছে বলে যুক্তি দেখিয়েছে সিডিসি।
এর পরিপ্রেক্ষিতে অ্যামাজনও, নতুন আইসোলেশন নীতি তাৎক্ষণিক কার্যকর করছে।
এছাড়া এ সময়ের বেতন কমানোর বার্তাও দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। এখন থেকে কভিডে আক্রান্ত কর্মীরা ৪০ ঘণ্টার বৈতনিক ছুটি পাবেন।
একই সঙ্গে অসুস্থ কর্মীদের অফিসে আসতে নিষেধ করা হয়েছে। সাত দিনের পরও কারও শরীরে উপসর্গ থাকলে বাড়তি ছুটি পাবেন সেই কর্মী।
চলতি সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের বৃহত্তম বেসরকারি নিয়োগদাতা প্রতিষ্ঠান ওয়ালমার্টও একই পথে হাঁটার ঘোষণা দিয়েছে। এক বার্তায় তারাও সিডিসির সংশোধিত নির্দেশনা অনুসারে ছুটির সময় কমানোর ইঙ্গিত দিয়েছে।
কর্মীসংখ্যার দিক দিয়ে ওয়ালমার্টের পরে রয়েছে অ্যামাজন। যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিতীয় বৃহত্তম বেসরকারি নিয়োগদাতা প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিচিত অ্যামাজন।
তাই বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, তাদের এই নতুন আইসোলেশন নীতি ঘোষণার প্রভাব পড়বে দেশটির অর্থনীতিতে।
দেশজুড়ে প্রতিষ্ঠান দুটির হাজারো ওয়্যারহাউজ ও লজিস্টিক সাপোর্ট কর্মী রয়েছে। ♦