অভিনন্দন জো বাইডেন, ইতিহাস গড়লেন কমলা

0

যুক্তরাস্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হেরে গেলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। জয় আসবেই ধরে নিয়ে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত দাঁতে দাঁত কামড়ে পড়েছিলেন তিনি। একের পর এক রাজ্যে ধাক্কা খেলেও, ভোট পুনর্গণনার দাবিতে অনড় ছিলেন। কিন্তু পেনসিলভেনিয়ার দৌলতে শেষ মুহূর্তে তাঁর মুখের গ্রাস ছিনিয়ে নিলেন জো বাইডেন। তাই দ্বিতীয় বার হোয়াইট হাউসের দখল নেওয়া হল না ট্রাম্পের। ৪৬তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে তাঁর জায়গায় বাইডেনকে বেছে নিলেন দেশটির সাধারণ মানুষ।

২৬৪ ইলেক্টরাল ভোট নিয়ে শনিবারও শুরু থেকে এগিয়ে ছিলেন জো বাইডেন। ট্রাম্পের সপক্ষে ভোট ছিল ২১৪। জর্জিয়ায় ভোট পুনর্গণনার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর আশায় বুক বাঁধতে শুরু করে ট্রাম্প শিবির। ডেমোক্র্যাটদের গড় হিসেবে পরিচিত পেনসিলভেনিয়ার দিকে তাকিয়ে ছিলেন বাইডেন ও তাঁর সমর্থকরা। তাঁরা জানতেন, সেখানে ২০টি ইলেক্টরাল ভোট জিতে নিতে ট্রাম্পের আর কিছু করার থাকবে না। শেষ মেষ তাই হল। পেনসিলভেনিয়া বাইডেনকে জয় এনে দিল। তবে পেনসিলভেনিয়ার পাশাপাশি এ দিন নেভাদায় ৬টি ইলেক্টরাল ভোটও জিতে নেন বাইডেন। দিনের শেষে তাঁর প্রাপ্ত ইলেক্টরাল ভোট দাঁড়ায় ২৭৯।

একইসঙ্গে এ দিন যুক্তরাস্ট্রে ইতিহাস গড়লেন ভারতীয বংশোদ্ভূত কমলা হ্যারিস। সে দেশের প্রথম মহিলা ভাইস প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন তিনি। এর আগে যদিও ডেমোক্র্যাটদের হয়ে বাইডেনের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দিতায় নেমেছিলেন কমলা। তবে পরবর্তীকালে ভাইস প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হিসেবে তাঁকে বেছে নেন বাইডেন।

বাইডেন বলেছেন, ‘কমলা হ্যারিস ও আমার উপর সাধারণ মানুষ যে আস্থা রেখেছেন, তাতে সম্মানিত বোধ করছি। নানা বাধা বিপত্তি সত্ত্বেও রেকর্ড সংখ্যাক মানুষ ভোট দিয়েছেন। এতেই প্রমাণ হয় আমেরিকার হৃদয়ের গভীরে গণতন্ত্রই স্পন্দিত হয়। নির্বাচনী প্রচার শেষ হয়ে গিয়েছে। তাই সমস্ত রাগ-অভিমান পেছনে ফেলে একজোট হওয়ার সময় এসেছে। আমেরিকাকে একজোট হতে হবে, ক্ষত সারিয়ে উঠতে হবে। আমরা আমেরিকার মানুষ। আমাদের অসাধ্য কোনও কাজ নেই’।

টুইটারে কমলা হ্যারিস লিখেছেন, ‘জো বাইডেন বা আমি নই, এ বারের নির্বাচনের গুরুত্ব অনেক বেশি। এর সঙ্গে আমেরিকার আত্মা জড়িয়ে রয়েছে। জড়িয়ে রয়েছে একসঙ্গে লড়াই করার অদম্য জেদ। সামনে অনেক কাজ। চলুন পথ চলা শুরু করি’। 

Share.