পুঁজিবাজার ডেস্ক: বাংলাদেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণের প্রভাবে থেমে গেছে পুঁজিবাজার। বিনিয়োগকারীসহ পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্ট সবার স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিবেচনায় রেখে উভয় স্টক এক্সচেঞ্জ কর্তৃপক্ষ লেনদেন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে এ সংকটকালীন পরিস্থিতিতেও বিশ্বের প্রায় সব দেশে পুঁজিবাজার চালু রয়েছে। আমাদের দেশের পুঁজিবাজার এখনও পুরোপুরি অটোমেটেড না হওয়ায় লেনদেন চালু করা সম্ভব হচ্ছে না বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্টমহল।
করোনা পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলে সরকারের অনুমতি সাপেক্ষে সীমিত পরিসরে পুঁজিবাজারে লেনদেন চালু রাখা হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে।
সীমিত পরিসরে কীভাবে পুঁজিবাজারে লেনদেন চালু করা যায় সে বিষয়ে এরইমধ্যে কাজ শুরু করেছে উভয় স্টক এক্সচেঞ্জ। এজন্য কোন কোন বিভাগের সংশ্লিষ্টতা জরুরি তা নিয়ে আলোচনা চলছে। পাশাপাশি এ পরিস্থিতিতে লেনদেন চালু করতে গেলে কিছু বিশেষ প্রস্তুতির প্রয়োজন রয়েছে। এ মুহূর্তে উভয় স্টক এক্সচেঞ্জ কর্তৃপক্ষ সে প্রস্তুতি নিচ্ছে, যাতে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলে সরকারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অনুমতি সাপেক্ষে সীমিত পরিসরে পুঁজিবাজারে লেনদেন চলু করতে পারে। তবে সীমিত পরিসরে লেনদেন চালু হলে সব ব্রোকারেজ হাউজ অংশ নিতে পারবে কি-না তা নিয়েও স্টক এক্সচেঞ্জ কর্তৃপক্ষের শঙ্কা রয়েছে।
শিগগিরই বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি), বাংলাদেশ ব্যাংক, সেন্ট্রাল ডিপোজিটরি বাংলাদেশ লিমিটেড (সিডিবিএল), সেন্ট্রাল কাউন্টারপার্টি বাংলাদেশ লিমিটেড (সিসিবিএল), ব্রোকারেজ হাউজ, মার্চেন্ট ব্যাংক, অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানি ও তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোকে অটোমেটেড সিস্টেমের আওতায় নিয়ে আসা প্রয়োজন বলে মনে করেন বিনিয়োগকারী ও সংশ্লিষ্টরা। তবে দেশের পুঁজিবাজার পুরোপুরি অটোমেটেড সিস্টেমের আওতায় না আসার পেছনে স্টক এক্সচেঞ্জ ও বিএসইসির দায় রয়েছে বলে মনে করেনে তারা।