পুঁজিবাজারের উন্নয়নে আনিসুজ্জামানের নেতৃত্বে কৌশলপত্র প্রণয়ন ১৫ মে

0

পুঁজিবাজারের উন্নয়নে অর্থ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরীর নেতৃত্বে আগামী ১৫ মের মধ্যে কৌশলপত্র প্রণয়ন করা হবে। আজ বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি ভবনে বিভিন্ন অংশীজনের সঙ্গে অনুষ্ঠিত সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

সভায় অংশগ্রহণকারীরা এ তথ্য জানিয়েছেন।

গত ১৭ মার্চ পুঁজিবাজারের উন্নয়ন ও বিএসইসিকে শক্তিশালী করতে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরীকে সভাপতি করে ৪ সদস্যের কমিটি গঠন করে। এদিন সেই কমিটির তৃতীয় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় বিএসইসির চেয়ারম্যান, সব কমিশনার, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) চেয়ারম্যান, ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ডিবিএ) সভাপতি, বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) সভাপতি, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব পাবলিকলি লিস্টেড কোম্পানিজের (বিএপিএলসি) সভাপতি ও অন্যান্য অংশী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা অংশ নেন।

সভা শেষে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) চেয়ারম্যান মমিনুল ইসলাম বলেন, ‘আমাদের এলডিসি উত্তরণ এবং এর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা পুঁজিবাজারের শক্ত কাঠামো ছাড়া সম্ভব নয়। সে ক্ষেত্রে এই সরকার যথাসাধ্য চেষ্টা করবে পুঁজিবাজারকে শক্ত কাঠামোর ওপর দাঁড় করানোর। সে ক্ষেত্রে যে যে ইস্যু আছে, সেগুলো ১৫ মের মধ্যে একত্র করে আমরা সবাই মিলে একটা কৌশলপত্র তৈরি করব।’

কী ধরনের বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে, জানতে চাইলে ডিএসইর চেয়ারম্যান বলেন, ‘লং টার্ম স্ট্রাকচারাল ইস্যু আছে। আমরা আইপিওটা পুরোপুরি ডিজিটালাইজড করতে চাই এবং সেটা দ্রুত সময়ে করা। বন্ড মার্কেট কীভাবে ডেভেলপ করতে পারি, সেটা আলোচনা হয়েছে।’

কী কী বিষয়ে কথা বলেছেন জানতে চাইলে বিএমবিএ সভাপতি মাজেদা খাতুন বলেন, ‘আইপিও আনা, আইপিও-পরবর্তী এবং ক্যাপিটাল রেইজিংয়ের বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে। মার্চেন্ট ব্যাংকগুলো যাতে শৃঙ্খলভাবে কাজ করতে পারে, সে রকম বিষয় নিয়ে কথা বলেছি।’

মাজেদা খাতুন আরও বলেন, ‘আমরা সব সময় সেকেন্ডারি মার্কেট নিয়ে কথা বলি। ভালো কোম্পানিগুলো ব্যবসা শুরুর পর থেকে যদি তৈরি না হয়, এই প্ল্যাটফর্ম না থাকে, তাহলে ভালো কোম্পানির ফিন্যান্সিয়াল স্ট্রাকচার দাঁড়াবে না। সেটা যদি না হয়, তাহলে তালিকাভুক্ত হবে কীভাবে? মার্চেন্ট ব্যাংকের এখানে প্রচুর কাজ আছে, যেগুলো বিভিন্ন কারণে যথাযথভাবে করতে পারে না। আমরা বলেছি, আমরা যেন প্রাইমারি মার্কেট নিয়ে কাজ করতে পারি।’ 

Share.