রাশিয়ার হুমকির মধ্যেই ফিনল্যান্ড আনুষ্ঠানিকভাবে ন্যাটো সদস্যপদের জন্য আবেদনের সিদ্ধান্ত নিশ্চিত করে জানানোর পর এবার সুইডেনও এই জোটে তাদের যোগদানের পরিকল্পনা নিশ্চিত করে জানিয়েছে।
বিবিসি জানায়, সুইডেনের ক্ষমতাসীন দল স্যোশাল ডেমোক্র্যাটস দীর্ঘদিন ধরে ন্যাটোয় যোগদানের বিরোধিতা করে আসছিল। তারাই এবার ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের মুখে ন্যাটোয় দেশটির যোগদানের পক্ষ সমর্থন করেছে। এতে ন্যাটো সদস্যপদের জন্য সুইডেনের আবেদনের পথ সুগম হয়েছে।
এক বিবৃতিতে সুইডেনের স্যোশাল ডেমোক্র্যাটস বলেছে, দেশের জনগণ এবং বেশিরভাগ বিরোধীদল ন্যাটো সদস্যপদের পক্ষ সমর্থন করায় তারা ‘এ লক্ষ্যে কাজ করে যাবে’।
কয়েকদিনের মধ্যেই আনুষ্ঠানিকভাবে ন্যাটো সদস্যপদের জন্য আবেদন করা হতে পারে।
এই ঘোষণার পরপরই একটি সংবাদ সম্মেলনে সুইডিশ প্রধানমন্ত্রী ম্যাগডালেনা এন্ডারসন বলেন, তার দল বিশ্বাস করে “সুইডেন এবং সুইডিশ জনগণের নিরাপত্তার স্বার্থে পশ্চিমা সামরিক জোট নেটোতে যোগ দেওয়াটাই সবচেয়ে ভাল হবে।”
তিনি বলেন, “আমাদের স্যোশাল ডেমোক্র্যাটদের জন্য সামরিক জোট নিরপেক্ষতায় সুইডেন ভাল চললেও, এখন আমরা এই উপসংহারে পৌঁছেছি যে, ভবিষ্যতে এই জোট নিরপেক্ষতা আমাদের জন্য আর ভাল কাজে দেবে না।”
বাল্টিক অঞ্চলে সুইডেন যদি ন্যাটোভুক্ত না থাকা একমাত্র দেশ হয়ে দাঁড়ায়, তাহলে তারা ‘অরক্ষিত অবস্থায়’ থেকে যাবে, বলেন প্রধানমন্ত্রী এন্ডারসন।
সুইডেনের এই ঘোষণার আগে রোববার ফিনল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট নিনিস্তোও সাংবাদিকদের সামনে ঘোষণা দিয়ে বলেছেন, “আজ আমরা (প্রেসিডেন্ট ও সরকারের পররাষ্ট্রনীতি বিষয়ক কমিটি) সিদ্ধান্ত নিয়েছি, ফিনল্যান্ড ন্যাটো সদস্যপদের জন্য আবদেন করবে।”
রাশিয়া ন্যাটোয় বিভিন্ন দেশের এই যোগদানকে নিজেদের জন্য হুমকি হিসাবেই দেখে। একারণে ফিনল্যান্ড ও সুইডেন দু’দেশকেই ন্যাটোয় যোগদানের বিরুদ্ধে রাশিয়া হুঁশিয়ার করে দিয়ে বলেছে, এমন পদক্ষেপের জন্য তাদেরকে ‘পরিণতি ভোগ’ করতে হবে।
ঐতিহ্যগতভাবে ফিনল্যান্ড ও সুইডেন- দুই দেশই নিরপেক্ষ অবস্থান বজায় রাখা পছন্দ করলেও ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের মুখে নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগের কারণে তারা এই নীতি থেকে সরে আসার ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ♦